শিরোনাম
◈ ট‌রে‌ন্টো‌তে হোঁচট খে‌লো মেসির ইন্টার মায়া‌মি ◈ ব্রিটিশ মেয়রের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি আত্মীয়-স্বজনের জন্য ‘ভিসা জালিয়াতির’ অভিযোগ ◈ বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ গ্রহণে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করল আইএমএফ ◈ বেনজীরের অর্থপাচার মামলায় মার্কিন নাগরিক এনায়েত ৪ দিনের রিমান্ডে ◈ প্রকাশ্যে নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী, বললেন দেশ ছেড়ে পালাব না ◈ ডাকসু নির্বাচনে ব্যালট ছাপানো নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন উপাচার্য ◈ জনসভায় মৃত্যুর রোল, অবশেষে মুখ খুললেন থালাপতি বিজয় ◈ সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতি অনেক এগিয়ে নিয়েছি: সিইসি ◈ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা, করা হলো সতর্ক ◈ ড. ইউনুসের কথা শুনে মনে হয়েছিলো, আমি জিয়াউর রহমানের কথা শুনাছিলাম: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০১:১০ দুপুর
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নানা অপব্যবস্থাপনায় কক্সবাজারে বিশ্বপর্যটন দিবস পালিত

হাবিবুর রহমান সোহেল,কক্সবাজার প্রতিনিধি: বিশ্ব পর্যটন দিবসের দিনে কক্সবাজারে বড় কোনো আয়োজন নেই। অন্যান্য বছরের মতো পর্যটন মেলা বা বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে এ বছর কেবল একটি র‍্যালি ও আলোচনা সভার মাধ্যমে পর্যটন দিবস পালন করা হয়েছে। সকালে বরাবরের মতো, জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিষ্ট পুলিশের নেতৃত্বে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে র‍্যালি করে লাবনী পয়েন্টে আলোচনা সভার মাধ্যমে শেষ হয়। চোখে পড়ার মতো বড় কোন আয়োজন নাই এবারে।

অথচ, পাহাড়, নদী আর অবিচ্ছিন্ন ১২০ কিলোমিটার বালুকাবেলার অপূর্ব সমন্বয়ে গড়ে ওঠা কক্সবাজারকে বলা হয় বাংলাদেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র। প্রতিদিন হাজারো মানুষ ছুটে আসেন যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি ভুলতে। তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে সাগরে স্নান, সৈকতে হাঁটা বা হিমছড়ি-ইনানী ভ্রমণ ছাড়া আধুনিক পর্যটকদের জন্য এখানে আর কী সুযোগ রয়েছে? এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস। পর্যটক, স্থানীয় ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কক্সবাজারে বহুমাত্রিক বিনোদনের সুযোগ নেই। নেই আন্তর্জাতিক মানের থিম পার্ক, অ্যামিউজমেন্ট জোন কিংবা রাতের বেলায় পর্যটকদের আকর্ষণ করার মতো কোনো বৈচিত্র্যময় আয়োজন। ফলে সমুদ্রের অপরূপ সৌন্দর্য ঘিরেই কক্সবাজার সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। জুমাবার ও শনিবার ছুটির দিনে সুগন্ধা, লাবণী, কলাতলী, শৈবাল পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে হাজারো পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। কেউ সাগরে সাঁতার কাটছেন, কেউ বিচ বাইক, জেটস্কি বা ঘোড়ার পিঠে চড়ে আনন্দ নিচ্ছেন। ভ্রমণসঙ্গী ও পরিবারের সঙ্গে মেতে উঠেছেন ফটোসেশনে। কিন্তু দিন শেষ হতেই বিনোদনের সীমাবদ্ধতা প্রকট হয়ে ওঠে।

সিলেট থেকে আসা পর্যটক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সাগর উত্তাল থাকলেও মজা পাচ্ছি। কিন্তু সাগরের বাইরে আর কিছু নেই। রাত নামলেই হোটেল রুমে বন্দি থাকতে হয়। এখানে আধুনিক রাত্রিকালীন বিনোদনের ব্যবস্থা থাকা দরকার।’ ঢাকার মিরপুর থেকে আসা সৈয়দ রেজা বলেন, ‘প্রতিবার একই দৃশ্য পাই সাগর, পাহাড়, কাঁকড়ার বিচরণ আর নৌকার সৌন্দর্য। নতুন কিছু না থাকায় বারবার একই অভিজ্ঞতাই হয়।’পর্যটকদের বড় আক্ষেপ, একঘেয়ে অভিজ্ঞতার কারণে কক্সবাজারে বারবার এলেও নতুন আনন্দ খুঁজে পান না তারা। হোটেল প্রাসাদ প্যারাডাইজের জিএম ইয়াকুব আলী ও সী-ক্রুজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘কক্সবাজার দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র। অথচ ২৪ ঘণ্টা বিনোদনের ব্যবস্থা নেই। পরিকল্পনার অভাবে বিনোদন ব্যবস্থার বিকাশ থমকে আছে।’ তাদের অভিযোগ, ব্যক্তিগত বিনিয়োগে বহুমুখী প্রকল্প হাতে নেয়া হলেও প্রশাসনিক জটিলতা, অনুমোদনের দেরি ও অব্যবস্থাপনায় তা বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ব্যক্তিখাতের আগ্রহও কমে যাচ্ছে। কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও কক্সবাজার কেবল সৈকত ও সাগরনির্ভর। বহুমুখী সুযোগ-সুবিধা গড়ে তুলতে পারলেই এটি আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন নগরীতে রূপ নেবে।’

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শহীদুল আলম বলেন, ‘কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র করতে নানা উদ্যোগ ও পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন সর্বদা তৎপর।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়