মনিরুল ইসলাম: সিলেট-৬ আসন (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) ঘিরে রাজনৈতিক মাঠে উত্তাপ বেড়েছে। ভোটের ডামাডোল শুরু হওয়ার আগেই প্রার্থীরা মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ও চিত্রনায়ক হেলাল খান বেশ সাড়া ফেলেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে তিনি প্রতিদিনই গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় ছুটে বেড়াচ্ছেন। মতবিনিময় সভা ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ, তরুণ ভোটার ও স্থানীয় বিশিষ্টজনদের সঙ্গে গড়ে তুলছেন ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। তার এসব কর্মসূচিতে এলাকার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করছে যে তিনি হয়ে উঠছেন জনবান্ধব নেতা।
হেলাল খান তার প্রচারে বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি তুলে ধরছেন। পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, কর্মসংস্থান ও অবকাঠামো উন্নয়ন বিষয়ে নিজস্ব পরিকল্পনা জানাচ্ছেন। সাংগঠনিক কাজেও তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন—জাসাসকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছেন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত করেছেন।
তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, আন্দোলন-সংগ্রামের রাজপথে তিনি সবসময় তাদের পাশে থেকেছেন। এজন্যই তারা তাকে ‘অভিভাবক’ মনে করেন। তরুণ প্রজন্ম মনে করছে, হেলাল খানই হতে পারেন সিলেট-৬ আসনের উন্নয়নমুখী নেতৃত্ব।
তিনি নির্বাচিত হলে শিক্ষা খাতে নতুন স্কুল-কলেজ ও কারিগরি কেন্দ্র, স্বাস্থ্যখাতে আধুনিক হাসপাতাল, কৃষকদের জন্য সহজ ঋণ ও ন্যায্যমূল্যে ফসল বিক্রি, তরুণদের কর্মসংস্থান এবং গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জনগণের আস্থাই হবে তার সবচেয়ে বড় শক্তি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।