শিরোনাম
◈ বাংলাদেশসহ ৩ দেশের সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি করল ভারত ◈ নতুন নির্দেশনা: সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাটবে কর ◈ সৎ ও স্বপ্নবাজ মানুষরাই হবে নতুন রাজনীতির চালিকাশক্তি”— নাহিদ ইসলাম ◈ এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, ‘নিক্ষেপকারীরা’ আটক (ভিডিও) ◈ মহাসড়কে আগুন জ্বালাতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা দগ্ধ ◈ নতুন নির্বাচনী আচরণবিধি জারি: পরিবেশ রক্ষা ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কঠোর শর্ত ◈ প্রবাসীকে বাদ দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন কীভাবে হয়, প্রশ্ন ইসি সানাউল্লাহর ◈ দেশে আবারও বাড়ল সোনার দাম, ভরি কত? ◈ হঠাৎ যেভাবে ধানমন্ডির ভোটার হলেন আসিফ মাহমুদ ◈ নভেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৪৮.৭ শতাংশ বৃদ্ধি

প্রকাশিত : ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:৩৭ বিকাল
আপডেট : ২৭ অক্টোবর, ২০২৫, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাঁকো ভেঙে বিপাকে যশোর-মাগুরার ১৫ গ্রামের মানুষ

আজিজুল ইসলাম, যশোর : যশোরের বাঘারপাড়া ও মাগুরার শালিখা উপজেলার মধ্যে চিত্রা নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। এতে দুই উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ভেলায় করে পারাপার হলেও সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থী, নারী, বৃদ্ধ ও শিশুরা।

স্থানীয়রা জানান, চিত্রা নদীর ওপর স্থায়ী সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে খানপুর ও হরিশপুর ঘাটে গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে পারাপার করছিলেন। প্রায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ ও ৪ ফুট চওড়া সাঁকোটি ছিলই তাদের একমাত্র ভরসা। এবার বর্ষার পানির তোড়ে সেটি ভেসে যাওয়ায় দুই পাড়ের হাজারো মানুষ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।

বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশ শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে যাতায়াত করত। খানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পলাশ কুমার মণ্ডল জানান, সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় নদীর ওপারের শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে পারছে না। একই সমস্যা পড়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের।

খানপুর বাজার কমিটির সভাপতি অশোক বিশ্বাস বলেন, “সপ্তাহে দু’দিন এখানে হাট বসে। শালিখার গ্রামগুলো থেকে কৃষকেরা নৌকা বা সাঁকো দিয়ে পণ্য নিয়ে আসতেন। সাঁকো না থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও কৃষক জীবিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

খানপুর দাখিল মাদরাসার সভাপতি এ এইচ এম আজিজুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। পাশাপাশি দুই পাড়ের মানুষ জমিতে চাষাবাদ করতেও সমস্যায় পড়ছেন। আমরা দ্রুত স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানাই।”

যশোর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহবুবুর রহমান জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উপজেলা প্রকৌশলীকে সরেজমিনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়