শিরোনাম
◈ ১০ লাখ টাকার বেশি আমানত ও সঞ্চয়পত্রে রিটার্ন বাধ্যতামূলক ◈ জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠান: এবার ৮ জোড়া ট্রেন ভাড়া করল সরকার ◈ কুমিল্লায় ইউপি সদস্যকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যা ◈ খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান ছাড়া সবাই বিক্রি হয়েছে: রাজিব আহসান ◈ জেলেই বসে গরু চোরাচালান সিন্ডিকেট চালাচ্ছেন ‘ডাকাত’ শাহীন ◈ আবারও কি এক হচ্ছেন শাকিব-বুবলী? রোমান্টিক মুডে ধারা দিলেন দুই তারকা ◈ বেনাপোল কাস্টমস হাউস থেকে সরানো হলো  দেড় শতাধিক এনজিও কর্মীদের ◈ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর নেতৃত্বে নৈতিক গুণাবলীসম্পন্ন যোগ্য কর্মকর্তাদের নির্বাচনের নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার ◈ কোনো হুমকি-ধমকিতে আমরা পিছিয়ে যাব না : হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ছাত্রদলের ৯ দফা ঘোষণা: গণঅভ্যুত্থানের লক্ষ্যপূরণে অঙ্গীকার

প্রকাশিত : ০৩ আগস্ট, ২০২৫, ০৭:৩৯ বিকাল
আপডেট : ০৩ আগস্ট, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বেনাপোল কাস্টমস হাউস থেকে সরানো হলো  দেড় শতাধিক এনজিও কর্মীদের

আইরিন হক, বেনাপোল প্রতিনিধি (যশোর): বেনাপোল কাস্টমস থেকে দেড় শতাধিক এনজিও কর্মীকে(বহিরাগত) বহিঃস্কার করেছে নব নিযুক্ত কাস্টমস কমিশনার।  তবে এসব বহিরাগতদের আশ্রয়দাতা কাস্টমস সদস্যদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।

রোববার(০৩ আগস্ট) বেনাপোল কাস্টমসে বহিরাগতদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করলে বের হয়ে যায় এনজিও সদস্যরা। তবে তার বের হলেও বাইরে থেকে ঘুসের টাকা সংগ্রহ করছে বলে জানা গেছে।

বেনাপোল কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এনজিও অপসারনের দাবি জানিয়ে আসলেই তৎকালীন সমায়ের কর্মকর্তারা আমাদের দাবির বিষয়ে কোন কর্ণপাত করেনি।

সিএন্ডএফ এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় সহ নানা অপকর্মে সাথে এরা জড়িত। মুলত এদের কারনে আমদানি রফতানি বাণিজ্য মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হতো। আশাকরি কমিশনার তার এ সিন্ধান্তের কারনে আমদানি রফতানি বাণিজ্য সহজীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী রুবেল জানান, চাকুরী করে বেতন নেই তারপরও কোটিপতি, চলেন দামি গাড়িতে থাকেন আলিশান বাড়িতে থাকে এনজিও সদস্যরা। কাস্টমস হাউসে চাকুরি করি বলে দাপিয়ে বেড়ায় গোটা বন্দর এলাকা। এদের কাছে অনেকটাই অসহায় সিএন্ডএফ এজেন্টরা।

সিএন্ডএফ এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আদায় করতেন লক্ষ লক্ষ টাকা। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কর্মরত ১৪৮ জন নন গর্ভানমেন্টাল অর্গানাইজেশন (এনজিও)দের কথা লোক মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এনজিও সরানো হয়েছে। এবার তাদের আশ্রয় দাতা কাস্টমস সদস্যদের সনাক্ত করে তাদের  বিরুদ্ধেও 
শাস্তি মুলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি। 

গত সপ্তাহে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন যোগদান করেন। এর পর এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল। 

জানা যায়,  আমদানি বা রফতানি পণ্যের ফাইল থেকে নিদিষ্ট হারে ঘুষ নির্ধারন করে রেখেছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। ফাইল প্রতি ১৫ হাজার থেকে শুরু করে ৩০  টাকা পর্যন্ত আদায় করা হতো। আর কোন কাগজ পত্রে ত্রুটি থাকলে এ ঘুষের পরিমান দাড়ায় লাখ টাকা থেকে শুরু করে কোন কোন ক্ষেত্রে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে এ অর্থ কাস্টমস কর্মকর্তারা নিজে হাতে নেয় না। তাদের এনজিও কর্মীদের দিয়ে ঘুষের টাকা সংগ্রহ করে থাকে।

এজন্য বড় একটা কমিশন পায় এই এনজিও সদস্যরা।   ফলে এসব এনজিওরা অল্পদিনে কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। শুণ্য থেকে কোটিপতি হতে বেশি সময় লাগেনি তাদের। কমিশনার দপ্তর থেকে শুরু করে শুল্কায়ন ও পরীক্ষন গ্রুপ পর্যন্ত প্রতিটি শাখায় দুই থেকে ৩ জন পর্যন্ত এনজিও সদস্যরা অবস্থান করতো। এবং সবাই তা ভাগাভাগি করে নিতো।

আমদানিকারক রবিউল ইসলাম জানান, ঘুষের কারনে আমদানি খরচ বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে দেশের বাজারে। এছাড়া ঘুষ বানিজ্যের কারনে কাস্টমসের বড় একটা অংকের রাজস্ব হারায় সরকার।

সাধারন ব্যবসায়ী ইদ্রিল আলী জানান, ঘুষ না দিলে কাস্টমস কর্মকর্তারা ফাইল দিনের পর দিন আটকে রাখে। প্রতিবাদ করলে আগের কাস্টমস কর্মকর্তারা লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিত। বাধ্য হয়ে কোন অনিয়ম না থাকলেও নিদিষ্ট হারে ঘুষ দিতে হতো।  নব নিযুক্ত কমিশনার সময়ে এ অবস্থা থেকে মুক্তি চাইছি। 

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস হাউসের জনবল সংকট ছিল। এর আগে খুলনা ও যশোর কাস্টমস হাউস থেকে জনবল ধার করে কাস্টমস হাউসের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। সে সময় বিভিন্ন কর্মকর্তারা অফিসের কার্যক্রমের সুবিধার্থে কিছু নিকট আত্মীয় কিংবা পরিচিত লোকজন এনজিও হিসাবে নিয়োগ দেন।  বর্তমান নতুন কমিশনারের এনজিও অপসারন করতে শুরু করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়