শিরোনাম
◈ চার দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের, বাদ জুমা গণঅনশন ◈ জুলাই থেকে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ কমবে ◈ পাক-ভারত যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত ◈ ‘চিকেন নেক’র কাছে সামরিক মহড়া ভারতের ◈ বিপ্লব সফল না হলে তুমি উপদেষ্টা হতে পারতা না, এখন তোমার আচরণ ফ্যাসিবাদীর মতো: উপদেষ্টা মাহফুজকে জবি শিক্ষক ◈ দুঃখ প্রকাশ করে যা বললেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ◈ দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ, ভরি কত? ◈ উপদেষ্টা মাহফুজের ওপর বোতল নিক্ষেপকারী শনাক্ত, খুঁজছে পুলিশ ◈ ক্রসরোডে বাংলাদেশ: ডনের সম্পাদকীয় ◈ বাংলাদেশসহ ৫ দেশের কূটনীতিকের পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠান স্থগিত করল ভারত

প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:০৪ রাত
আপডেট : ০৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুমিল্লায় যে কলেজে পাস করেছে মাত্র ২ শিক্ষার্থী

ফারুক আহাম্মদ, ব্রাহ্মণপাড়া ( কুমিল্লা ) প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ দেওয়ান কলেজ থেকে এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় দুইজন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। মঙ্গলবার ( ১৫ অক্টোবর ) বেলা ১১টায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের কনফারেন্স কক্ষে ঘোষিত ফলাফল থেকে তা নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

এ ফলাফল ঘোষণার পর ওই প্রতিষ্ঠানটির এমন ফলাফল বিপর্যয়ের ঘটনায় বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। জানা গেছে, উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের আসাদনগর এলাকায় অবস্থিত অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ দেওয়ান কলেজটি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব মো. ফরিদ উদ্দিন দেওয়ান। তবে ওই কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতি বছরই ফলাফল বিপর্যয়ের মতো ঘটনা ঘটে আসছে। এ বছরও ওই কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ২২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। এদের মধ্য থেকে ২ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়। বাকি ২০ শিক্ষার্থীর কেউ পরীক্ষায় পাস করেনি। 

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ দেওয়ান কলেজসহ এ উপজেলা থেকে ১৩টি কলেজ কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এসব কলেজ থেকে এ বছর ২ হাজার ৫৩ শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১ হাজার ৯৮৩ শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়। এ বছর এ উপজেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১৩ শিক্ষার্থী। এ বছর এই উপজেলায় পাসের হার ৯৭ শতাংশ। 

এ ব্যপারে অধ্যক্ষ দেওয়ান আবদুল মজিদ কলেজের অধ্যক্ষ সেতারা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত ছিল না, অল্প কিছু দিন হল প্রতিষ্ঠাটি এমপিওভুক্তির আদেশ পেয়েছে৷ প্রতিষ্ঠাটিতে শিক্ষক সংকট ছিল৷ তাছাড়া নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি হতে চায় না৷ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের আমরা এ কলেজে ভর্তি করেছি৷ খণ্ডকালীন শিক্ষকদের দিয়ে পাঠদান দেওয়া হয়েছে ৷ শিক্ষকরা সঠিক ভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠ দিতে পারেনি৷। তাই এ বছর ফলাফল খারাপ হয়েছে ৷

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহিদুল করিম বলেন, ওই কলেজটি নন-এমপিও হওয়ায় শিক্ষক সংকট ছিল৷ বর্তমানে এমপিওভুক্তির আদেশ হয়েছে৷ সবকিছু মিলিয়ে কলেজটি লেখাপড়ার গুণগতমান ধরে রাখতে পারেনি৷ তবে ওই কলেজের শিক্ষার মান উন্নয় করতে হবে৷ আশা করছি সামনের দিকে কলেজটি ভালো ফলাফল করবে৷ এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসও কলেজটিতে বিশেষ তদারকি করবে৷

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়