এম আর আমিন, চট্টগ্রাম: [২] চট্টগ্রাম দোহাজারী-কক্সবাজার পরীক্ষামূলক ট্রেন চালু হতে যাচ্ছে আগামী ১৫ অক্টোবর। এ উপলক্ষে পটিয়া রেলস্টেশনে ছয়টি বগির একটি ট্রেন প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ছয়টি বগি ও একটি ২২শ সিরিজের ইঞ্জিন। কোরিয়া থেকে আনা এসব একেকটি বগিতে ৬০ জন করে যাত্রী বসতে পারবেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান ।
[৩] তিনি আরও বলেন, দোহাজারী–কক্সবাজার রেল লাইনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী রোববারের মধ্যে ১০২ কিলোমিটার লিকিংয়ের কাজ শেষ হবে। ১৫ অক্টোবর দোহাজারী থেকে পরীক্ষামূলক ট্রায়াল ট্রেন উদ্বোধন হবে। মন্ত্রী মহোদয় উদ্বোধন করবেন। এরমধ্যে অন্যান্য কাজ শেষ হয়ে যাবে। ট্রায়াল ট্রেন পটিয়া স্টেশনে রাখা হয়েছে। ট্রায়ালের আগের দিন পটিয়া থেকে ট্রায়াল ট্রেনটি দোহাজারী নিয়ে রাখা হবে।অক্টোবরের শেষের দিকে দোহাজারী–কক্সবাজার রেল লাইনের উদ্বোধন হবে ট্রায়াল রানের পরও বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহনে যেতে আরো দুই–তিন মাস লাগবে।দোহাজারী থেকে চকরিয়া এবং চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথে ৩৯টি ব্রিজ ও আন্ডারপাসসহ ২৫১টি কালভার্ট নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
[৪] ইতোমধ্যে জনবল, ইঞ্জিন ও বগি সংকটের কারণে শুরুতে মাত্র এক জোড়া ট্রেন চালানোর প্রস্তাব করেছে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয়। অর্থাৎ একটি ট্রেন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার যাবে এবং ওই ট্রেনটিই আবার ফিরবে। দুটি বিকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী, ট্রেনটি রাতে ঢাকা থেকে যাত্রা করে পরের দিন সকালে কক্সবাজারে পৌঁছাবে। সেই ট্রেন পরের দিন ঢাকায় ফিরবে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্বিঘ্নে ট্রেন চলাচলের জন্য কালুরঘাট সেতুটি দ্রুত সংস্কার করা হচ্ছে।জানা গেছে,রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে দুটি প্রস্তাবনা রেল ভবনে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে যেকেনো একটি ধরেই ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
[৫] প্রকল্পের কাজ ২০১০ সালে শুরু হয়ে শেষ হবে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকার বেশি। চট্টগ্রাম থেকে ঘণ্টায় ১০০–১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে।রেলের ভাষ্য অনুযায়ী, নতুন নির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার ট্রেন চালানো সম্ভব। চীন থেকে কেনা নতুন বগিতে তৈরি ট্রেন চালানো হবে এ রুটে। এসব ট্রেনের ২০ এক্সেল লোডের ট্রেন কালুরঘাট সেতুতে চলার উপযোগী নয়। ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি সংস্কারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সঙ্গে চুক্তি করেছে রেলওয়ে।