শিরোনাম
◈ অধ্যাপক ইউনূস ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’: নাহিদ ইসলাম ◈ মুজিবের ছবি ছাড়াই নতুন নোট ছাড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংক  ◈ বাংলাদেশের দুটি 'চিকেন নেক' কেটে দেব: আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি ◈ হাজার হাজার ‘বাংলাদেশিকে’ ফেরত পাঠাতে চায় ভারত ◈ পররাষ্ট্র সচিব জসীমের বিদায়, রুটিন দায়িত্বে রুহুল আলম ◈ আসিফ-মাহফুজকে নিয়ে যা বললেন নুর ◈ তোমরা সংযত হও, নাহলে আমি পদত্যাগ করবো, বলেছেন প্রফেসর ইউনূস ইতিমধ্যেই ◈ জুলাই অভ্যুত্থানের পর সেনানিবাসে আশ্রয় ৬২৬ জনের তালিকা দিল সেনাবাহিনী, যাদের নাম আছে ◈ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে সরকারকে আর সহযোগিতা নয়: হুঁশিয়ারি বিএনপির ◈ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ৫ সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত : ০৯ মে, ২০২৫, ১১:১৬ রাত
আপডেট : ২২ মে, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিভাজন নয় ঐক্য, প্রতিশোধ নয় ভালোবাসা—গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের

বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে ঐক্যে জোর দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম। সেই সময়ের যে অসাধারণ ভ্রাতিত্ব, ঐক্য নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম স্বাধীনতার জন্য। সেই বোধ, সেই চেতনা, সেই ঐক্যকে যেন আমরা অটুট রাখতে পারি। আজকে কোনো শক্তি যেন আমাদেরকে বিভক্ত করতে না পারে।তাই আসুন- বিভাজন নয়, ঐক্য; প্রতিশোধ নয়, ভালোবাসা দিয়ে আমরা দেশটাকে সবাই মিলে গড়ি।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ফার্মগেট খামারবাড়ী বার্ক মিলনায়তনে ‘ইস্টার পুনর্মিলনী ও শুভেচ্ছা বিনিময়’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফোরাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের যে দর্শন দিয়েছেন, এই দর্শনে কিন্তু সব ধর্মের সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বলা হয়েছে ধর্মীয় মূল্যবোধকে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হবে। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঠিক একইভাবে কেউ সংখ্যালঘু বললেই তিনি রেগে যেতেন। সংখ্যালঘু বলতে বাংলাদেশে কিছু নেই, এখানে সবাই বাংলাদেশি।

তিনি বলেন, আজকে আমরা একটা সংকটময় মুহূর্ত পার করছি। গণতন্ত্র আমরা চাই। সবাই চাই। এই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমরা লড়াই করেছি। আমাদের অসংখ্য ছেলে, শিশু, সন্তান তারা প্রাণ দিয়েছেন। আমরা কষ্ট করেছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৬ বছর কারাগারে ছিলেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান নির্বাসিত হয়ে তিনি এখনো আছেন। আমরা সবাই কারাগারে গেছি। একটি মাত্র উদ্দেশ্যে গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা চাই। এমন একটা রাষ্ট্র চাই, যেখানে সবাই সবার কথা বলতে পারবে। সমান অধিকার থাকবে এবং সে তার ভোট দিয়ে তার প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে। আমরা আশা করব, সবাই মিলে সেই সুযোগের সৎব্যবহার করে সত্যিকার অর্থে একটা ঐক্যবদ্ধ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ আমরা তৈরি করতে সক্ষম হবো। বিভাজন নয়, ঐক্য; প্রতিশোধ নয়, ভালোবাসা দিয়ে আমরা দেশটাকে তৈরি করব।
 
বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জন গমেজের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, আব্দুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ’র আর্চবিশপ বিজয় এনডি ক্রুজ, বাংলাদেশ খ্রিস্টান ফোরামের মহাসচিব অনিল লিও কস্তা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়