সঞ্চয় বিশ্বাস: চলতি বছরেই ঢাকা থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ট্রেন যাবে। ইতোমধ্যে এই মেগা প্রকল্পের কাজ ৭৮ শতাংশ শেষ হয়েছে আর বাকি আছে মাত্র ২২ শতাংশ। ১০০ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার এখন দৃশ্যমান। প্রকল্পের অধীনে থাকা অন্যান্য কাজও চলছে সমানতালে। বাংলাট্রিবিউন, কালবেলা
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে নির্মাণ করা হচ্ছে ঝিনুক আকৃতির দৃষ্টিনন্দন রেলওয়ে স্টেশন। যা দেশের একমাত্র আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন। কক্সবাজার ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর এই আইকনিক রেলস্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে।
স্টেশনটিকে সৈকতের ঝিনুকের আদলে তৈরি করা হচ্ছে। স্টেশন ভবনটির আয়তন এক লাখ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয়তলা ভবনটির বিভিন্ন অংশে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। নির্মাণাধীন আইকনিক ভবন ঘেঁষে ৬৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১২ মিটার প্রস্থের তিনটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি হচ্ছে।
স্টেশনের পাশেই রেলওয়ের আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে আটটি ভবনের নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে শেষ পর্যায়ে। স্টেশনটিতে আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি ক্যান্টিন, লকার, গাড়ি পার্কিং ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পর্যটকরা স্টেশনের লকারে লাগেজ রেখে সারাদিন সমুদ্রসৈকতে বা দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে পারবেন। এই স্টেশন দিয়ে দিনে ৪৬ হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারবেন। দৃষ্টিনন্দন এই রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণের কাজ প্রায় ৮৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, ১০০ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ৬০ কিলোমিটারের বেশি এখন দৃশ্যমান। বর্তমানে প্রকল্পের অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ আছে। আমরা চেষ্টা করছি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই এই পথে ট্রেন চালু করার।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ১০০ কিলোমিটার রেলপথে কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনসহ মোট স্টেশন থাকছে নয়টি। বাকি আট স্টেশন হলো– সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাঁও, রামু, কক্সবাজার সদর ও উখিয়া।
উদ্বোধনী বক্তব্যে রেলমন্ত্রী বলেন, খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত রেল সম্প্রসারিত হচ্ছে। রেলে যে লোকবল ঘাটতি ছিল তা পূরণ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রেল ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করার জন্য নতুন নতুন ইঞ্জিন, কোচসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম রেলওয়েতে যোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া রেলওয়ে কারখানা আধুনিকায়ন করা ও রাজবাড়ীতে কোচ কারখানা করা যায়, তার ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হচ্ছে। মাতারবাড়ীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।
এসবি২/এএ
আপনার মতামত লিখুন :