পাপ্পী আয়ান: [২] ঈদযাত্রার শেষ দিনে চাপ নেই সদরঘাটে পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শেষ দিনে বাড়ি ছুটছে মানুষ। তবে ঈদের আগে শেষ দিনে তেমন যাত্রীর চাপ নেই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। ফলে অনেকটা স্বস্তিতেই বাড়ি ফিরতে পারছেন যাত্রীরা।

[৩] বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে টার্মিনালে আসছেন বরিশাল, চাঁদপুর, হাতিয়া, ভোলা, মনপুরা, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার যাত্রীরা। গত দুইদিনের তুলনায় ভিড় না থাকায় সহজেই পছন্দের লঞ্চে উঠতে পারছেন যাত্রীরা।  

[৪] লঞ্চগুলোও অনেকটা ফাঁকা দেখা যায়। নেই বাড়তি ভাড়া আদায়ের ভোগান্তি। বিকালের লঞ্চগুলোকেও নির্দিষ্ট সময়ে টার্মিনাল ছেড়ে যেতে দেখা যায়।

[৫] ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলাচলকারী এমভি ঈগল-৩ এর মাস্টার মোস্তফা কামাল বলেন, আজ যাত্রীর চাপ কম। গতকাল ও পরশু ভালো যাত্রী ছিলো আজ ৫০০ যাত্রী হবে কিনা জানি না। তবে কোনো বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। যাত্রী না থাকার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, চাঁদপুরের অনেক মানুষ আজ ঈদ উদযাপন করছে। যার কারণে যারা চাঁদপুরের যাত্রী তারা আগেই চলে গেছে।

[৬] হাতিয়া রুটে চলাচলকারী এমভি ফারহান-৮ লঞ্চের ইঞ্জিন চালক মো. হান্নান বলেন, আজ সকালেও যাত্রী ছিলো। তবে দুপুর ধরে আর যাত্রী নেই। এখন যারা যাচ্ছে তারা শেষ মুহূর্তের যাত্রী। যাত্রী হলে নির্দিষ্ট সময়েই লঞ্চ ছেড়ে যাবে। তা না হলে একটু দেরি হতে পারে।

[৭] ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী প্রিন্স আওলাদ লঞ্চের সুপারভাইজার হৃদয় খান বলেন, আজকে সাধারণ সময়ে মতো যাত্রী। লঞ্চের অর্ধেকও হয়তো ভরবে না। আর পদ্মাসেতু হওয়ার পর আমাদের রুটে এমনিতেই যাত্রী কমে গেছে। তবে যাত্রী হোক বা না হোক রাত ৯টায় নির্দিষ্ট সময়েই লঞ্চ ছেড়ে যাবে।

[৮] লঞ্চযাত্রী বলেন, লঞ্চে ভিড় হবে চিন্তা করে দুপুরেই রায়েরবাগ থেকে সদরঘাট এসেছি। কিন্তু দেখি তেমন ভিড় নেই। পদ্মাসেতু হওয়ার পর আমাদের রুটে এখন বেশিরভাগ মানুষ বাসেই যাতায়ত করে। তবে বাসে আমাদের অস্তি লাগে তাই লঞ্চেই যাচ্ছি। এতে অনেক স্বস্তি পাওয়া যায়। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

পিএ/কে/একে