শিরোনাম
◈ বর্তমান ডামি সরকার দেশটিকে একটি লুটপাটের দেশ বানাতে চাচ্ছে: রিজভী ◈ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের শেয়ার হস্তান্তরে স্থিতাবস্থা, কাজ বন্ধ ◈ ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস আজ ◈ জাবালিয়া তুমুল লড়াই অন্তত ১২ ইসরায়েলি সেনা নিহত  ◈ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে, তদন্ত কমিটি গঠন ◈ দুর্নীতির মামলায় জামিন পেলেন ইমরান খান ◈ ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি ◈ বিমানের সাবেক এমডিসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট ◈ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের পথে বাংলাদেশ দল ◈ বাংলাদেশে বাড়িতে সন্তান প্রসবের উচ্চহারে জাতিসংঘের উদ্বেগ, পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ

প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১২:৪৮ রাত
আপডেট : ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১২:৪৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চলতে জানার পাশাপাশি জীবনে থামতে জানাও গুরুত্বপূর্ণ

এম আমির হোসেন

এম আমির হোসেন: পেশাগত কারণে মানুষের জীবনের অন্তিমসময় খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয় আমার। ভ্যানচালক থেকে শিল্পপতি সবাই কতো অসহায় তখন। সবচেয়ে কাছের মানুষও কোনো কাজে আসে না। কাজে আসে না অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা, বেহিসাবি বিত্তবৈভব, সামাজিক পরিচিতিও। তবে এটাও সত্য যে, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা না থাকলে ভালো পরিবেশে সর্বোচ্চ চিকিৎসাটি পাওয়া যায় না। জীবনে অর্থবিত্তের কোনো মূল্য নেই এটা ঠিক নয়। অর্থ জীবনকে অর্থময় করে। জীবনকে অযথা অপচয় না করে নিজের পেশা বা প্রিয় কোনো কাজে আমাদের সফলতা অর্জনের চেষ্টা করা উচিত। তবে অর্থবিত্ত বা সফলতার জন্য উন্মাদ হয়ে যাওয়ারও কোনো মানে নেই। 

সর্বক্ষেত্রেই থামতে জানতে হয়। চলতে জানার পাশাপাশি জীবনে থামতে জানাও গুরুত্বপূর্ণ। গড়ে ছয়-সাত দশকের একটি জীবনে প্রথম তিন-চার দশক চলে যায় শিক্ষা-দীক্ষা লাভ করে স্থির অবস্থায় আসতে আসতেই। নানান রোগে-শোকে যায় শেষ দিকের দশক। মাঝখানের পঞ্চম ও ষষ্ঠ দশক হলো মূলত কাজ ও উপার্জনের সময়। এই দুই দশকের কাজ দিয়েই সফলতা বা বিফলতা নির্ধারিত হয়। এই দুই দশকের কাজ দিয়েই মানুষ খ্যাতি-অখ্যাতি লাভ করে। আবার এই দুই দশকের প্রায় অর্ধেক সময়ও চলে যায় ঘুমে, বিশ্রামে, আলস্যে বা অসুস্থতায়। জাগরণ কাল কতটুকু? এর মাঝে করতে হয় অনেক কাজ পেশাগত, নেশাগত, পারিবারিক, সামাজিক বা সৃষ্টিশীল কাজ। 

মানুষের জীবন হাস্যকর রকমের ছোট। ছোট এ জীবনকেই যথাযথ ব্যবহার করে কেউ হয় বিশ্বনন্দিত, কেউ-বা হয় ইতিহাসনন্দিত। নিদেনপক্ষে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে হয় সফল ও সুখী মানুষ। আবার কেউ হয় নিন্দিত, অসুখী ও ব্যর্থ মানুষ। সংশোধনের সময়ও পায় না অনেকে। মানবজীবন ছোট বা অনিশ্চিত বলে মন খারাপ করে বসে থাকার কিছু নেই। বর্তমান পারিপার্শ্বিকতাকে পুঁজি ধরে সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করাই গুরুত্বপূর্ণ। মোটামুটি মানের হলেও সফলতা অর্জনের চেষ্টা করা উচিত আমাদের। 

জীবনের একমাত্র টার্গেট হওয়া উচিত সফল ও সুখী হওয়া। প্রেমময় পারিবারিক বন্ধন কিংবা মানুষের কল্যাণপ্রদ কাজ করে নির্মল যে সুখ লাভ হয় তা বহুমূল্য। জীবনে ব্যর্থতার অনেক অজুহাত বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ থাকলেও নিজের মতো করে দ্বিতীয় কেউ কখনো তা বুঝবে না। এ আশা করা বাতুলতা মাত্র। ব্যর্থতা মানে শুধুই নিজস্ব ব্যর্থতা। তাই দ্বিধা বা সংশয়ে থেকে সংক্ষিপ্ত এই জীবনকে অপচয় করার কোনো মানে হয় না। সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে বড় কোনো অতৃপ্তি না নিয়ে পরিসমাপ্তিতে পৌঁছুতে পারাই হলো জীবনের স্বার্থকতা। লেখক: চিকিৎসক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়