শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৬ মে, ২০২৪, ১২:৪৮ দুপুর
আপডেট : ১৬ মে, ২০২৪, ০৯:৫৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস আজ

লংমার্চ শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট হাইস্কুল মাঠে সমাবেশে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ ১৬ মে, ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ফারাক্কা ব্যারাজ অভিমুখে লংমার্চ করে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাড়া ফেলে দেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। লংমার্চ শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট হাইস্কুল মাঠে সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি। সেই থেকে ১৬ মে ফারাক্কা দিবস পালিত হয়ে আসছে। সূত্র: 

৯৫ বছরের শারীরিক অসুস্থতা বা রাজনৈতিক চাপ দমাতে পারেনি লংমার্চের প্রধান নেতা ও সংগঠক মওলানা ভাসানীকে। তিনি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এমন সোচ্চার জনমত গড়ে তুলেছিলেন।

এই লংমার্চ সংগঠিত হয়েছিল ফারাক্কায় বাঁধ দিয়ে ভারত কর্তৃক একতরফা গঙ্গার পানি অপসারণের মাধ্যমে পদ্মা নদীকে পানিশূন্য করে ফেলার বিরুদ্ধে। তৎকালীন প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা মওলানা ভাসানী এই পদযাত্রার আহ্বান করেন।

বাংলাদেশের তৎকালীন সরকার এই লংমার্চ আয়োজনে সহায়তা দিয়েছিল। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ২১ এপ্রিল এই বাঁধ চালু করার কয়েক মাসের মধ্যে এর ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশের পরিবেশে ফারাক্কার সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে মওলানা ভাসানী এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্য জাতির প্রতি আহ্বান জানান। এরই প্রেক্ষাপটে ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ মে পদ্মা নদীর তীরবর্তী বিভাগীয় শহর রাজশাহী থেকে ফারাক্কা বাঁধ অভিমুখী এই অভিযাত্রা শুরু করা হয়। যদিও মাওলানা ভাসানী সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে ফারাক্কা পর্যন্ত পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছিলেন তবু সরকারের পরামর্শে এই পদযাত্রা ১৭ মে অপরাহ্নে ভারতীয় সীমান্তের কাছে কানসাটে গিয়ে শেষ করা হয়।

এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়