সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] সিরিয়া থেকে জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি সেলের মাধ্যমে পশ্চিত তীরের ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের কাছে এই অস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হয়। জর্ডানের বিভিন্ন সূত্র একথা জানিয়েছে। সূত্র: দ্য নিউ অ্যারাব
[৩] জর্ডানের ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভুত জর্ডানির দেশটির ব্রাদারহডের সেলটির সদস্য। তাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনি ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[৪] জর্ডানিদের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের কাছে অস্ত্র পাঠানোর কোন পরিকল্পনার বিষয়টি এই প্রথম জানা গেল। এমন সময় এ ঘটনা ঘটল যখন ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ গণহত্যা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে।
[৫] ইসরায়েলের এই গণহত্যায় সর্বাত্মক সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরান এ যুদ্ধে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এই প্রতিরোধ যোদ্ধাদের জোটে রয়েছে ইয়েমেনের হুথি-আনসারুল্লাহ, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইরাকি ও সিরীয় প্রতিরোধ সংগঠনগুলো।্যারা গাজার বাইরে থেকে ইসরায়েলে আঘাত হানছে।
[৬] টাইমস অব ইসরায়েল বলেছে, তাদের সমর্থক দেশ জর্ডানে নাশকতা সৃষ্টির জন্য এসব ইরানি অস্ত্র দেশটিতে পাঠানো হয়েছিল। এরপরই হামাস বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছে, জর্ডানে তাদের কোন হামলার লক্ষ্যবস্তু নেই। তারা কেবল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
[৭] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইটি জর্ডান সূত্র জানায়, তারা একে কোন নাশকতামূলক কাজ বলতে অস্বীকৃতি জানায়। তারা জানায়, এ ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে এবং সেই সাথে গোপন অভিযানও চলছে।
[৮] গাজা যুদ্ধের ঘটনায় জর্ডান একটি ফ্লাশ পয়েন্টে পরিণত হয়েছে। দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশাল সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার সময় তা রোধে ইসরায়েল ও পশ্চিমাদেশগুলোর পাশাপাশি জর্ডানও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। সম্পাদনা: রাশিদ
এসআই/আর/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :