শিরোনাম
◈ একের পর এক নিষেধাজ্ঞা, ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক কোন দিকে? নানা প্রশ্ন ◈ স্থলপথে কেন বাংলাদেশি পণ্যে নিষেধাজ্ঞা, জানাল ভারত ◈ খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ ◈ ভারতে কমেছে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার, বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে-সৌদি আরবে ◈ সাফ শি‌রোপা জেতা হ‌লো না বাংলা‌ে‌দে‌শের, ভার‌তের কা‌ছে টাইব্রেকারে হে‌রে গে‌লো ◈ ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা, দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি: ‘বাংলাদেশ টক্কর দিলে বাঁচবে না’ ◈ যে ‘৩ শর্তে’ সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ স্থগিত হয় ◈ আইসিসি’তে জয় শাহ: ক্রিকেটে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট করছে ভারত? ◈ সাবেক সেনাসদস্যদের বিক্ষোভ নিয়ে যা জানালেন আইএসপিআর ◈ ‘ইউনিফর্ম পড়ে আসছি, আমি কাপুরুষ না’- চাকরিচ্যুত সেনাদের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৪ মে, ২০২৫, ০২:০৫ দুপুর
আপডেট : ১৮ মে, ২০২৫, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : মাসুদ আলম

রণক্ষেত্র কাকরাইল, জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ (ভিডিও)

আবাসন ভাতা, প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট অনুমোদনসহ তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের লংমার্চ কর্মসূচিতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এতে এখন পর্যন্ত ৬ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আর টিয়ারসেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও পুলিশের ধাওয়ায় শিক্ষার্থীদের লংমার্চ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

৭০ শতাংশ আবাসন ভাতা, বাজেট বৈষম্য দূরীকরণ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেয়ার দাবিতে জবি শিক্ষার্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার অভিমুখে লংমার্চ করছেন।

আজ বুধবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে বারোটায় পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার মোড়, গুলিস্থান মোড় ও জিরো পয়েন্ট মোড়ে, মৎস্য ভবন মোড়ে জবি শিক্ষার্থীদের মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ।

সরেজমিনে দেখা যায় তাঁতীবাজার মোড়,গুলিস্থান মোড়, জিরো পয়েন্ট মোড় ও মৎস্য ভবন মোড়ে পুলিশ কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়েছিল। এ সময় পুলিশের সাথে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতি হয় জবি শিক্ষার্থীদের। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই সকল ব্যারিকেড ভেঙে দিয়ে রাজপথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে যমুনার সামনে এগিয়ে যায়।

এদিন পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দাবি আদায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের বাসভবন যমুনার অভিমুখে জবি ক্যাম্পাস থেকে পদযাত্রা শুরু করেন জবি শিক্ষার্থীরা ।

এর আগে শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে মঙ্গলবার বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও শিক্ষক সমিতির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে জবির বাজেট বৃদ্ধি ও আবাসন সংকট নিরসন বিষয়ে আলোচনা হয়। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যথাযথভাবে দাবি উপস্থাপন করলেও ইউজিসি বরাবরের মতোই দায়সারা আশ্বাস দিয়ে তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে।

এরই প্রেক্ষিতে লং মার্চ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার লং মার্চ কর্মসূচি হওয়ার কথা থাকলেও একদিন এগিয়ে এনে তা বুধবার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তিন দফা দাবি মানলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনা ও অনিশ্চয়তা দূর হবে। আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো-

১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।

২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে।

৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।

আন্দোলনে উপস্থিত আছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মোশাররাফ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হুসাইন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল, সদস্যসচিব সামসুল আরেফিন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আসাদুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান আকাশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি একে এম রাকিব সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি। সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়