ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের ওপর কয়েকটি পণ্যের আমদানিসংক্রান্ত বন্দর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) নির্দেশিকার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে টক্কর দিলে ওরা বাঁচতে পারবে না।’
রোববার দিলীপ ঘোষ ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘আমরা যখন পাকিস্তানকে টাইট দিতে পারি, তখন বাংলাদেশ তো কোন ছাড়! চারদিক থেকে ভারত দিয়ে ঘেরা। ওদের সব আমাদের হাতে, আকাশ থেকে পানি, ব্যবসা থেকে বাণিজ্য। ওদের বোঝা উচিত, ভারতের সঙ্গে টক্কর দিলে ওরা বাঁচতে পারবে না।’
এর আগে, গতকাল শনিবার বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিকসহ ছয় ধরনের পণ্য আমদানিতে স্থলবন্দর ব্যবহারে বিধিনিষেধ জারি (পোর্ট রেস্ট্রিকশন) করে ভারত। দেশটি বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করে। এই নির্দেশনা শনিবার থেকেই কার্যকর হয়েছে।
নির্দেশনা অনুসারে ভারতে কোনো স্থলবন্দর দিয়েই বাংলাদেশ থেকে কোনো ধরনের তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন না ভারতের ব্যবসায়ীরা। এই সব পণ্য কেবল নব সেবা (Nhava Sheva) এবং কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়েই আমদানি করা যাবে।
এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, ফল এবং ফলের জুস, তুলা বা তুলার বর্জ্য এবং প্লাস্টিকজাত সামগ্রী আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম রাজ্যের কোনো স্থলবন্দর কাস্টম (এলসিএস) বা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) দিয়ে আমদানি করতে পারবেন না ভারতের ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ী (পশ্চিমবঙ্গ) এলসিএস দিয়ে এসব পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত রং, ডাই, প্লাস্টিসাইজার ও গ্র্যানিউল আমদানি করা যাবে মেঘালয়, ত্রিপুরা, ও মিজোরাম দিয়ে। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল ও পাথরগুঁড়া আমদানিতে কোনো বন্দর-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। নেপাল ও ভুটানের উদ্দেশে বাংলাদেশ থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ট্রানজিট পণ্য পরিবহন এই বিধিনিষেধের আওতাভুক্ত নয় বলেও জানানো হয়েছে। অনুবাদ : আজকের পত্রিকা