শওগাত আলী সাগর: শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর আলোচনার আগ্রহের ব্যাপারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়াটা ভালো লাগেনি। ‘শিক্ষামন্ত্রীকে ক্যাম্পাসে গিয়েই তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে কেন? শিক্ষার্থীরা ঢাকায় গেলে সমস্যাটা কী? বিভিন্ন পত্রিকায় ‘ঢাকায় আলোচনার প্রস্তাব নাকচ, শিক্ষামন্ত্রীকে ক্যাম্পাসে আসার আহ্বান’- জাতীয় শিরোনামটা ভালো লাগেনি। এর মধ্যে খানিকটা উসকানি আছে বলে মনে হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী কথা বলবেন, সংকটের সমাধানের জন্য। পাবলিক মিটিং করে এই ধরনের সংকটের সমাধান হবে কিনা সেটি প্রশ্নসাপেক্ষ। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদেরই শিক্ষামন্ত্রী কিংবা অন্য যেকোনো পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আন্দোলনের প্রায় সপ্তাহখানেক পরে শিক্ষামন্ত্রী নড়েচড়ে বসা নিয়ে আমি এর আগে সমালোচনা করেছি। আরও আগেই সরকারের পক্ষ থেকে ভূমিকা রাখা দরকার ছিলো। শিক্ষামন্ত্রী যখন আলোচনার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন, তখন সেটিকে চ্যালেঞ্জ করা সমীচীন বলে মনে করি না।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর আলোচনাটা অনলাইনেও হতে পারে, তবে এই ধরনের পরিস্থিতিতে সামনাসামনি বসে আলোচনাই অধিকতর যুক্তিসংগত বলে আমার মনে হয়। শিক্ষার্থীরা একটা যৌক্তিক সমাধানের জন্যই তো আন্দোলন করছেন, সরকারকে আলোচনার বাইরে রেখে সেই যৌক্তিক সমাধান সম্ভব কিনা সেটাও ভাবতে হবে। শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধিরা যেখানে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার জন্য ঢাকা গিয়েছেন, সেখানে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরাও ঢাকায় গেলে তেমন ক্ষতি হয় বলে আমার মনে হয় না। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা নিশ্চয়ই প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্ত নেবেন। লেখক : কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক
আপনার মতামত লিখুন :