শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারী, ২০২২, ০২:৩৯ রাত
আপডেট : ২৩ জানুয়ারী, ২০২২, ০২:৩৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিদ্যুৎ ছাড়াই আলোকিত থাকে যে মসজিদ (ভিডিও)

নিউজ ডেস্ক : বৈদ্যুতিক বাতি ছাড়াই প্রাকৃতিক আলোয় সব সময় উজ্জ্বল ও ফর্সা থাকে এক মসজিদ। বর্ষায় মেলে বৃষ্টির ছোঁয়া। আর এখন শীতে মুসল্লিরা উপভোগ করছেন কুয়াশা-শীতলতা। পূর্ণিমা রাতে চাঁদের আলো মুগ্ধতা ছড়ায় মসজিদের ভিতরে। আরটিভি

নজরকাড়া নকশায় নির্মিত মসজিদটি দেশের অন্যতম স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্য নজির। আর এটি দেখতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বহুজন ছুটে আসছে। চোখ ধাঁধানো একটি মসজিদটির নাম আস-সালাম জামে মসজিদ ও ঈদগাহ সোসাইটি।

মসজিদটি অবস্থিত লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরাঞ্চলে। রামগতির চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের শেখের কিল্লা এলাকায় শুধু নকশাতেই নয়, এর কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যা দেশের অন্য কোন মসজিদে ব্যবহার হয়নি। চোখেও পড়েনি কখনো। দ্বিতল এ মসজিদে কোনো আলাদা জানালা নেই। মসজিদটি নকশাই এমন চারদিক থেকে কোনো বাধা ছাড়াই আলো বাতাস প্রবেশ করছে ভেতরে। তবে মুসল্লিদের প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য দুইটি দৃষ্টিনন্দন দরজা রয়েছে।

মসজিদে আসা মুসল্লিরা রোদ-বৃষ্টি-কুয়াশা উপভোগ করতে পারবেন। তবে রোদে গরমে কেউ পুড়বে না, বৃষ্টিতে কেউ ভিজবে না। সবমিলিয়ে মসজিদটি এক অনন্য নিদর্শন শুধু কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।

গরমে মসজিদকে শীতল করার জন্য ভেতরে রয়েছে পানি সংরক্ষণের জন্য ৪টি জলাধার। গ্রীষ্মকালে মসজিদকে শীতল রাখবে জলাধারগুলোতে স্থান পাওয়া শীতল পাথরগুলো।

দ্বিতল এ মসজিদটির নিচ তলা দুই ভাগে বিভক্ত। সামনে মেহরাব ও মসজিদের মূল অংশ। এর পেছনে মাঝ বরারব গলিপথ। তার দুই পাশে শীতল জলাধার, রোদ আর বৃষ্টির প্রবেশ পথ। মুসল্লিদের জন্য একটি প্রশান্তময় স্থান তৈরি করতেই মসজিদে প্রাকৃতিক আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। পেছনের অংশে বড় গ্যালারির মসজিদ। যেখানে বসে মুসল্লিরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে ইবাদত করতে পারে। গ্যালারির অংশের পিছন থেকে দোতলায় উঠার সিঁড়ি। দোতলায় রয়েছে নারীদের নামাজ পড়ার স্থান।

স্থানীয় রহিমা মমতাজ ও সাইফ সালাহউদ্দিন ট্রাস্টের উদ্যোগে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ আর জনহিতকর কাজের অংশ হিসেবে এটি স্থাপন করা হয়।

২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে এ মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মসজিদটির নকশা তৈরিতে বাংলাদেশীয় একটি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান এবং সঙ্গে ছিল বিদেশী কয়েকজন স্থপতি। বিরতিহীন কাজের পর ২০২১ সালের শেষের দিকে মসজিদটি মুসল্লিদের ইবাদতের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হয়। প্রায় ৪ হাজার বর্গফুট দোতলা এ মসজিদ নির্মাণে ব্যয়ভার বহন করেছে রহিমা মমতাজ ও সাইফ সালাহউদ্দিন ট্রাস্ট। এ মসজিদকে ঘিরেই আস-সালাম হাফেজিয়া মাদরাসা গড়ে তোলা হয়েছে। এতে কোরআনে হাফেজ ও ইংরেজি শিক্ষার সমন্বয়ে একটি আর্ন্তজাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষা কমপ্লেক্সের অধীনে একটি বালিকা বিদ্যালয় ও একটি কলেজ স্থাপন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এদিকে মসজিদ নির্মাণ ও শিক্ষা কমপ্লেক্স নির্মাণ করলেও প্রতিষ্ঠাতা পুরোপুরি প্রচার বিমুখ। এজন্য তার বক্তব্য উপস্থাপনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তার মূল লক্ষ্য মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। তিনি আল্লাহকে খুশি করতেই মানুষের জন্য কাজ করতে কাজ করে যাচ্ছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়