শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:২৮ রাত
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মঈন চৌধুরী: ভাষার সমাজ, শিক্ষা ও প্যারাডাইম

মঈন চৌধুরী
আমাদের সত্তার সঙ্গে ভাষা যুক্ত থাকার কারণে আমাদের জীবন ও জগতৎ বিষয়ক ধ্যান-ধারণাও ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার রূপ ধারণ করে। তবে জীবন ও জগৎ নিয়ে কিছু কিছু ধারণা আমাদের একই মাত্রায় থাকে, যার ফলে সমাজে আমরা একইসঙ্গে চলতে পারি। মনস্তত্ত¡বিদ কার্ল গুস্তাভ ইয়ুং মানুষের যৌথ মনস্তত্তের কথা উল্লেখ করেছেন, যেখানে জগৎ ও জীবন সম্পর্কীয় কিছু স্বতঃসিদ্ধ ধারণা মানুষের মনে যৌথভাবে অবস্থান করে। এমন যৌথ মনস্তত্ত¡ না থাকলে আমরা সামাজিক মানুষ হিসেবে জীবনযাপন করতে পারতাম না। এখানে উল্লেখযোগ্য যে আমাদের যৌথ মনস্তত্ত¡ই তৈরি করেছে আমাদের সার্বিক চেতনাকাঠামো বা প্যারাডাইম।

আমাদের মুল সমস্যাই হলো আমাদের প্যারাডাইম বা চেতনাকাঠামো। প্রথমেই বিশ্লেষণ করা যাক আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে। একই সমাজে আর একই দেশে থেকে আমরা শিক্ষা পাচ্ছি বাংলা মিডিয়াম স্কুল, ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল, আলিয়া মাদ্রাসা আর কওমি মাদ্রাসা থেকে। সাধারণ শ্রমিক আর কৃষকরা জ্ঞান আহরণ করছে ওয়াজ মাহফিলের তথাকথিত হুজুরদের বাণী আর ফতোয়া থেকে। এমন বিচিত্র আর বহুমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা থাকলে জনগণের ভিন্ন মাত্রার চেতনাকাঠামো থাকাই স্বাভাবিক।

একই যৌথ-মনস্ততত্তে¡, একই প্যারাডাইমে আমাদের ইতিহাসে ছিলো জাতপাত, কুলীন-অচ্ছুৎ, চ্ছ-মালাউন, শোষক-শোষিত ইত্যাদির মতো বিভাজন। বর্তমানে আছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-চেতনাহীনতা, প্রগতিশীল-প্রতিক্রিয়াশীল, প্রতিক্রিয়াশীল প্রগতিশীল-প্রগতিশীল প্রগতিশীল, ছুপা-প্রগতিশীল, রাজাকার-নব্য রাজাকার, প্রগতিশীল মৌলবাদী-প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী ইত্যাদির মতো বিভাজন। ভাষাভিত্তিক এই বিভাজনগুলোর প্রেক্ষাপটে আছে সত্য-অসত্য। প্রগতিকে রক্ষা করতে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে প্রতিক্রিয়াশীল মাস্তান বাহিনী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিক্রি করে চালু হয়েছে ঘুষ, লুটপাট আর অরাজনৈতিক কর্মকান্ড। সব ধরনের প্যারাডাইমিক ঘটনাকে জায়েজ করার জন্য চালু আছে ভাষাভিত্তিক পণ্ডিতদের বক্তব্য, বিবৃতি, বক্তৃতা আর টকশো। ভাষাচক্রে মানুষ হচ্ছে বিভ্রান্ত, বিচলিত, অবদমিত, আর মানুষ নিস্তেজ হয়ে চুপ করে গ্রহণ করছে সব। আমাদের এগোতে হলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আর চেতনাকাঠামোকে বদলাতে হবে। Mayeen Chowdhury-র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়