এ এইচ সবুজ: [২] ব্যক্তিগত ও আর্থিক লেনদেনের বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকান্ড বলে দাবি পুলিশের।
[৩] গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- কালীগঞ্জের সালদিয়া গ্রামের ছাত্তার খানের পুত্র জাহিদুল ইসলাম খান (২১) এবং একই এলাকার মনির হোসেনের পুত্র মোঃ মহিউদ্দিন ওরফে বাবু (৩৫)।
[৪] শনিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হেডকোয়ার্টারের সম্মেলন কক্ষে এসব তথ্য জানিয়েছেন জিএমপি'র উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) জাকির হাসান।
[৫] তিনি বলেন, গত বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাতে দেশীপাড়ার একটি নির্জন টেক এলাকায় স্থানীয় নরুন এলাকার বাসিন্দা ফেরদৌসী ও তার মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ব্যাপারে পরের দিন নিহত ফেরদৌসীর ভাই ইজ্জত আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও স্বজনদের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনায় জড়িত জাহিদুল ইসলাম খান ও মহিউদ্দিন ওরফে বাবুকে গেল রাতে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
[৬] এদিকে গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উপ-পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, ইন্সুরেন্স কোম্পানির আর্থিক লেনদেন নিয়ে জাহিদের সঙ্গে ফেরদৌসীর বিরোধ ছিল। এছাড়া সম্প্রতি বাবুর সঙ্গে তার স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এজন্য বাবু ফেরদৌসী কে দায়ী করেন। এসব কারণে বাবু ও জাহিদ ফেরদৌসী কে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ইন্সুরেন্সের কথা বলে দেশীপাড়া এলাকায় মোবাইল ফোনে ডেকে নেন জাহিদ। ফেরদৌসী ও তার মেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হত্যাকারীরা তাদের গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
[৭] তিনি আরো বলেন, ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে কালীগঞ্জের সালদিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের হাতে নতুন কাটা দাগ রয়েছে এমন তথ্য পাওয়া যায়। পরে কালীগঞ্জের সালদিয়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয় এবং জিজ্ঞাসা করলে,সে উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সে সময় ঘটনার জড়িত বাবুর নাম বলে জাহিদুল। পরে বাবুকেও একই এলাকা থেকে আটক করা হয়।
[৮] তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যায় ব্যবহৃত দুটি ছুরি, মোটরবাইক এবং ফেরদৌসীর হাতব্যাগ উদ্ধারকরা হয়েছে।
[৯] সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর মেট্রো পুলিশের এডিসি রেজোয়ান আহমেদ, সদর জোনের এসি রিপন চন্দ্র সরকার,সদর থানার ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ