জাহাঙ্গীর লিটন: [২] ত্যাগী ও কারা নির্যাতীতদের মূল্যায়িত না করাসহ নানা অভিযোগ এনে লক্ষ্মীপুরে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদলের নবগঠিত ৪টি ইউনিট কমিটির নেতারা গণপদত্যাগ করেছেন।
[৩] রোববার (২১ নভেম্বর) বিকালে শহরের একটি রেস্তোরায় তারা গণমাধ্যমকর্মীদের ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের ৩৮জন নেতা একসঙ্গে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এসময় তারা জেলা কমিটির বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও পদ বাণিজ্যের অভিযোগও তোলেন।
[৪] পদত্যাগকারীরা জানান, ১৭ নভেম্বর ২০২১ মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে ৬টি ইউনিটের কমিটি গঠন করে জেলা কমিটি। উক্ত কমিটিতে দলের ত্যাগীদের যথাযথ মূল্যায়ন না করে অযোগ্য, অরাজনৈতিক, দলছুট, তেলবাজদের মূল পদে রেখে স্বজনপ্রীতি ও পদ বাণিজ্যের মাধ্যমে নিজেদের অনুসারীদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। এতে করে আন্দোলন সংগ্রামে যারা সক্রিয় থেকে মামলা হামলার শিকার হয়েছেন এমন প্রকৃত নেতা-কর্মীরা অনেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে জানান তারা। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করে সদর পশ্চিম ও পূর্ব, পৌর ও চন্দ্রগঞ্জ থানা কমিটি পূণ:বিবেচনা করে গঠনের দাবীতে ৩৮নেতা গণপদত্যাগ করেন।
[৫] এসময় বক্তব্য রাখেন নবগঠিত সদর পশ্চিশ শাখা সেবকদলের আহবায়ক জামাল হোসেন, পৌর কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মঞ্জু, পূর্ব শাখার যুগ্ম আহবায়ক তারেকুর রহমান রাসেল, চন্দ্রগঞ্জ থানা যুগ্ম আহবায়ক মোল্লা মাসুদ। পদত্যাগকারী অপর নেতারা হলেন, সদর পশ্চিমের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহমান, আজম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর, পূর্ব কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মো. তারেকুর রহমান, মো. রাকিব হোসেন, নিয়াজ মাহমুদ, চন্দ্রগঞ্জ থানার যুগ্ম আহবায়ক সাহাদাত হোসেন, জিল্লুর রহিম, মামুনুর রশিদসহ ৩৮ জন নেতা।
[৬] পরে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া করেন এসব নেতারা। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ