সুজিৎ নন্দী: [২] ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল কারখানা ও গুদাম সরাতে সিটি করপোরেশন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা ২০১৭ সালের পর থেকে আর কোন ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছি না।
[৩] মেয়র বলেন, আমরা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। প্রত্যেক বছরই প্রাণহানি হচ্ছে, দুর্ঘটনা ঘটছে। সুতরাং আমরা অনুরোধ করবো এ ব্যাপারে তারা যেন দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়। বুধবার মেয়র নগরীর ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদবাগ ভূগর্ভস্থ পয়ঃনালী পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন।
[৪] তিনি আরও বলেন, আমাদের ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ রাখা সত্ত্বেও তারা বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিচ্ছে। আমরা কোথায় স্থানান্তর হবো, স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি, আমাদের জায়গার ব্যবস্থা করা হয়নি, এরকম বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিচ্ছে। আমরা কিন্তু কঠোর রয়েছি।
[৫] মেয়র তাপস বলেন, আমরা অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব, তারা যেন সরেজমিনে এগুলো পরিদর্শন করে এবং যেগুলো বেআইনিভাবে পরিচালিত হচ্ছে সেগুলো অচিরেই বন্ধ করে দেয়।
[৬] সাম্প্রতিক সময়ে পুরান ঢাকায় ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা উল্লেখ করে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, এ ধরনের দুর্ঘটনা অত্যন্ত অনাকাঙ্খিত ও অনভিপ্রেত। বিষয়টি আমি অন্যান্য কর্তৃপক্ষের নজরে আনছি। এই নিয়ে আমি শিল্পমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে সভা করেছি এগুলো দ্রুত যেন স্থানান্তরের ব্যবস্থা করে।
[৭] মেয়র বলেন, আজ আমরা যে জায়গায় এসেছি শ্যামপুর খালের এই অংশ এখনো দখল অবস্থায় আছে। আমরা তা দখল মুক্ত করবো। এখানকার এই সেতুটা দীর্ঘ ৪০ বছর আগে এলজিআইডির করা। এখানে আমরা নতুন করে সেতু নির্মাণ করবো, যাতে করে পানির প্রবাহটা একদম নিশ্চিত হয় ও খালটি প্রশস্ত হয়। এছাড়াও এই সেতুর নীচ দিয়ে যাতে নৌকা চলাচল করতে পারে, সেই কার্যক্রমও আমরা হাতে নিবো।
[৮] এ সময় মেয়র নগরীর ৪২ নং ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর (এসটিএস) কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহমদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিনসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।