নিনা আফরিন: [২] পটুয়াখালীর বাউফলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১০ ও গুলিবিদ্ধ হয়েছে ১ জন।
[৩] শনিবার (৩০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার নগরের হাট নওমালা কলেজ সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
[৪] আহতদের প্রাথমিক চিকিৎস্যা দেওয়া হয়েছে এবং গুলিবিদ্ধ মো. সজীব (১৯) কে উন্নত চিকিৎস্যার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সজিব ওই ইউনিয়নের নিজ বটকাজল গ্রামের নাসির প্যাদার ছেলে।
[৫] পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকদের আধিপত্য বেশি। শনিবার রাতে নৌকার সমর্থকেরা আধিপত্য বিস্তার করতে ওই এলাকায় ঢুকে পড়েন। রাত সাড়ে ১০টার সাহা গাজীর বাড়ির সামনে পৌঁছালে নওমালা কলেজ সড়ক এলাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. কামাল হোসেন বিশ্বাসের নৌকার সমর্থক ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহজাদা হাওলাদারের ঘোড়া প্রতীকের সমর্থকের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
[৬] উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎস্যক মো. তাসিফুল ইসলাম বলেন, অস্ত্রোপচারের আগে বলা যাবে না ওটা কি? তবে তাঁর ঘাঁড়ের বাঁ দিক দিয়ে ফরেন জাতীয় কিছু একটা ঢুকেছে সেটা নিশ্চিত।
[৭] আহত সজিব বলেন, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশের উপস্থিতেই নৌকার সমর্থক শাহাবুদ্দিন আকন (৪৬) গুলি ছোড়েন। এতে তিনি (সজিব) গুলিবিদ্ধ হন।
[৮] অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিন আকন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি এ সম্পর্কে কিছুই জানি না। আমি আমার বাসায় অবস্থান করেছিলাম।
[৯] বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, ‘গুলি ছোড়ার বিষয়টি সত্য না। তবে দু’পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়েছে। যা পুলিশ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :