ফজলুল বারী: বার দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যে অনাকাক্সিক্ষত অকল্পনীয় ঘটনাগুলো ঘটেছে এসবের মূল অপরাধ আওয়ামী লীগের! অপরাধের কারণটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ কেন ক্ষমতায়। সেই মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে পাকিস্তানি প্রচারণায় এটি ছিলো হিন্দুদের যুদ্ধ অথবা চক্রান্ত। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, এর বয়স ৫০ হয়েছে, কিন্তু রোগটি যায়নি। আটকাপড়া পাকিস্তানি এখন আওয়ামী লীগের ভেতরেই বিস্তর। বাংলাদেশের অবশিষ্ট হিন্দুদের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ হিন্দু মানেই আওয়ামী লীগ। অথবা আওয়ামী লীগ মানেই ভারত এবং হিন্দুদের দালাল। কাজেই আওয়ামী লীগ যতো মডেল মসজিদ বানাক, এই দল কিন্তু তাদের বিবেচনায় মুসলমানদের দল নয়। আর ধর্মনিরপেক্ষতা যে আজকের যুগের সংখ্যাগরিষ্ঠ আওয়ামী লীগাররা চায় না তা প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের দিকে মারমুখো আওয়ামী লীগাররা মনে করিয়ে দিয়েছে। তাদের কয়টাকে আপনি বহিষ্কার করবেন?
কুমিল্লায় মণ্ডপে কোরআন শরীফ হিন্দুরা রেখেছে এমন আজগুবি তথ্য কিন্তু দেশের বেশিরভাগ আমজনতা এখনো বিশ্বাস করে! যারা দিনরাত দেশ এগিয়েছে বলে চিৎকার করেন তারাতো অগ্রগতির নমুনা নিজের চোখে দেখলেন। আওয়ামী লীগ ভয়ে এই মব ঘাটাতে যায়নি। ফেসবুকে বসে আপনি আওয়ামী লীগকে ধুয়ে দিচ্ছেন। যারা ঘটনা ঘটালো তাদের বাদ দিয়ে! এটাইতো ষড়যন্ত্রকারীরা চেয়েছিলো। মাঠে যেদিন সবাই নামবেন তখন পরিস্থিতি ভিন্ন হবে। জাফরুল্লাহ, মান্না সবাই এখন কুমিল্লা আর শাহবাগে নেমে সরকারি ব্যর্থতা খুঁজছেন। ঘটনার সময়তো মাঠে ময়দানে কেউ তাদের টিকিটি দেখেননি। দুনিয়ার কোনো ক্ষমতাসীন সরকার মব ঘটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থার সৃষ্টি চাইবে না। মোহাম্মদ নাসিমের মতো নেতা বেঁচে থাকলে এতোক্ষণে ১৪ দল, সাংস্কৃতিক জোটকে নিয়ে মাঠে নেমে যেতেন। বাংলাদেশের ধর্মান্ধদের অসুখটা আগে স্বীকার করলে তো চিকিৎসার কথা ভাববেন। আওয়ামী লীগ যতোদিন ক্ষমতায় থাকবে ততোদিন মাঝে মাঝে এমন শয়তানি দেখবেন। দোষতো একটাই, আওয়ামী লীগ কেন ক্ষমতায়। ঋধুষঁষ নধৎর-র ফেসবুক ওয়ালে লেখাটি পড়ুন।