আপনাদের একটা ব্যাপার আমার খুব ভালো লাগে। আপনাদের কথা ও কাজের মিল আছে। আপনারা নানা ফর্মে ও প্ল্যাটফর্মে ঘৃণা ছড়ান এবং সেই মোতাবেক কাজও করেন। এটা খুব ভালো। আপনারা যখন ঘৃণা উৎপাদন করেন ও ছড়ান তখন কিন্তু গুটিকয় মানুষ প্রতিবাদ করেন। তাহলে আপনারা হামলা ও নিপীড়ন করলে অধিক সংখ্যক মানুষ কেন চিৎকার করেন? যার উৎপাদন বৈধ তার প্রদর্শনও বৈধ। আপনারা ঘৃণা উৎপাদন করলে তা ভালো কিন্তু প্রয়োগ করলে তা মন্দ হয় কী করে? তাহলে প্যাঁচটা কোথায়? আসলে হামলা ও নিপীড়ন হলে ঘৃণা নামক উৎপাদিত পণ্যটির কুৎসিত দিক স্পষ্ট হয়ে যায়। দেখতে খারাপ লাগে। তাই প্রতিবাদ। কিন্তু আসলে তো আপনারাই কথা ও কাজের মিল রাখেন। তাই আপনাদের ভালো লাগে। আর যারা সিজনাল ক্ষোভ দেখান বা হামলা-টামলা হয়ে গেলে বা ঐ ইয়ে টিয়ে মানে শারীরিক ইয়ে টিয়ে হয়ে গেলে যাদের কেমন যেন অস্বস্তি হয়, তারা আসলে প্রকৃত চিত্র বের হয়ে যাওয়ায় বিব্রত হয়ে প্রতিবাদ করেন। তারা যদি আসলেই এসবের বিপক্ষে থাকতেন তাহলে এমন বাস্তবতা নির্মাণের প্রক্রিয়ার বিপক্ষেই সরব থাকতেন।
হে মাননীয়, আমি কিন্তু আপনাদের ভালোবাসি। যতটুকু মারধোর ও হামলা সহ্য করা সম্ভব করবো। তবে ঐ যে ওরা, যারা আপনাদের কাজের সুফল ভোগ করতে চান কিন্তু প্রকাশ্যে আপনাদের বিপক্ষে থাকার অভিনয় করেন, তাদের আমি ঘৃণা করি। ওরা আপনাদের চাইতে অনেক বেশি বিপদজনক।
আপনার মতামত লিখুন :