আশিক এলাহি: [২] তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বক্তব্যে দেশের মানুষও হাসে, হনুমানও হাসে। সরকার নাকি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে। তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় কুমিল্লার ঘটনার পেছনে তাদের ইন্ধন ছিলো।
[৩] তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশ চালায়, সরকার সবসময় চাই দেশে শান্তি শৃঙ্খলা স্থিতি থাকুক। এই কথার মধ্য দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব কী বাংলাদেশের সব মানুষকে বোকা ভেবেছেন। তিনি মনে করেছেন এই কথা বলে বাংলাদেশের মানুষকে বোকা বানাবেন। এটিতে দেশের মানুষ যেমন হাসছে হনুমানও হাসে।
[৪] শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
[৫] ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্ঠা চালানো হচ্ছে, কুমিল্লার ঘটনায় কারা মিছিল বের করেছে, সেই ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। তারা কোন দলের সমর্থক, তারা কোন মতাদর্শে বিশ্বাস করে সেগুলো বের করে জনসমক্ষে আমরা সেটা প্রকাশ করবো ইনশাআল্লাহ। আমাদের এই দেশে শান্তি শৃঙ্খলা স্থিতি কোনোভাবেই বিনষ্ট হতে দেবো না।
[৬] তিনি বলেন, যারা এই বিশৃঙ্খলার সঙ্গে যুক্ত ছিলো, এখনো যুক্ত আছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালিয়েছে কিংবা চালাচ্ছে, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারা সেখানে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা অতি সহসা দিবালোকের মতো পরিষ্কার হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
[৭] তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে পাকিস্তান দীর্ঘশ্বাস ফেলে। তাদের প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করে বলেন, মানব উন্নয়ন, সামাজিক ও অর্থনৈতিকসহ সব সুচকে আজকে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে। মানব উন্নয়ন, সামাজিক সুচকসহ মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে আমরা ভারতকেও পেছনে ফেলেছি।
[৮] তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই উন্নয়নের প্রশংসা সমস্ত বিশ্বময় পঞ্চমুখ। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা আগেই অর্জন করার জন্য জাতিসংঘ আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে পুরস্কৃত করে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ প্রশংসা করে, এটি অনেকের পছন্দ হয় না।
[৯] আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার প্রশংসা পছন্দ হয়নি বিধায় নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হয়। বিএনপি-জামাত রাজনৈতিকভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন নানা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটিয়ে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়া হয়েছে এটির পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিলো। এটির পেছনে বিএনপি-জামাতসহ ধর্মান্ধ গোষ্ঠি যুক্ত। তারা এই ঘটনা ঘটিয়ে সারা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেই বিশৃঙ্খলা কঠোর হস্তে দমন করেছে।
[১০] বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেতা বিনির্মাণের কারখানা উল্লেখ করে তথ্য মন্ত্রী বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে এবং পড়ালেখায় মনোনিবেশ করার জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে বই খাতা এবং কলম তুলে দিয়েছিলেন। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে তিনি সবসময় অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। ছাত্রলীগ করার পাশাপাশি লেখাপড়ায় যেনো সবাই মনযোগী থাকে। ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে যেনো লেখাপড়ার ক্ষতি না হয় তিনি সবসময় সেই পরামর্শ দেন।
[১১] ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সবসময় সর্তক দৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয়। ছাত্রলীগের তরুন ভাইবোনদের বিনয়ী হতে হবে। কারণ উদ্যত আচরণ কেউ পছন্দ করে না। পাশাপাশি লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করতে হবে। লেখাপড়া বাদ দিয়ে শুধু ছাত্রলীগের কাজ করার প্রয়োজন নেই।
[১২] অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতী, শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, ডা. মোহাম্মদ সেলিম, আকতার হোসেন খাঁন, শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, গিয়াস উদ্দিন খাঁন স্বপন, যুবলীগের সভাপতি আরজু সিকদারসহ প্রমুখ।