জাহিদুল কবীর: [২] পূর্ব বিরোধের জের ধরে পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে যশোর উপশহরের এহসানুল হক ইমুকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরো চারজনকে আটকের পর রোবাবার ১০ অক্টোবর আদালতে হাজির করলে হত্যার দায় স্বীকার করে তিনজন বিচারকের আদালতে আলাদাভাবে জবানবন্দি দিয়েছে।
[৩] আটককৃতরা হলো, যশোর শহরের পুরাতন কসবা বিবি রোডের সফি সরদারের ছেলে সোহাগ রহমান (২৫), আমবাগান এলাকার শেখ শওকত আলীর ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (২০), সাহাদাত হোসেন সবুজের ছেলে আসাদুজ্জামান সুইট (২০) এবং শহরতলীর শেখহাটি জামরুলতলার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মাসুদ পারভেজ (২৪)।
[৪] মামলার বিবরণে জানা গেছে, উপশহর বি-ব্লকের সৈয়দ ইকবাল হোসেনের ছেলে এহসানুল হক ইমু ২০২০ সালের ২১ জুন রাতে নিউ মার্কেট শিশু হাসপাতালেল বিপরীতে রয়েল টি স্টলে চা পান করছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামিরা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি ইমুকে ছুরিকাঘাত করে।
[৫] এরপর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমু মারা যান। এই ঘটনায় ইমুর পিতা অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে মামলা করেন।
[৬] এই মামলায় পুলিশ এর আগে আল শাহরিয়ার, আসিফ হাসান, শাহিন সরদার ও বিপ্লব শেখ বাবুকে আটক করে। আটককৃত আল শাহরিয়ার, আসিফ হাসান ও শাহিন সরদার আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ওই তিনজনের দেয়া স্বীকারোক্তিতে এবং তদন্তকালে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত বলে গত শনিবার আটক সোহাগ রহমান, মাসুদ পারভেজ, ইয়াসিন আরাফাত ও আসাদুজ্জামান সুইটসহ চারজনের নাম উঠে আসে। সেকারণে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ওই চারজনকে আটক করা হয়।
[৭] রোববার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক আটক সোহাগ রহমান ও মাসুদ পারভেজের জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
এছাড়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন আটক ইয়াসিন আরাফাতের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। আর আটক আসাদুজ্জামানের জবানবন্দি গ্রহণ করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমান।