সুজন কৈরী : [২] ভাড়ায় অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ফরিদ মিয়া (৩৩)। একটি অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে বন্ধুত্ব করেন সাভারের সবুজবাগ এলাকার ভাড়াটিয়া মাসুদ শেখের সঙ্গে। এরপর কৌশলে মাসুদ শেখের অটোরিকশা ছিনতাই করেন ফরিদ। ছিনতাই কাজে বাধা দেওয়ায় মাসুদকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান ফরিদ।
[৩] বৃহস্পতিবার বিকেলে মানিকগঞ্জে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, ফরিদ পেশায় অটোরিকশাচালক। ভাড়ায় অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। স্বপ্ন দেখেন নিজের একটি অটোরিকশার। এই উদ্দেশ্য নিয়ে সাভারের সবুজবাগ এলাকার অটোরিকশাচালক মাসুদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন তিনি। ২ অক্টোবর রাতে কৌশলে মাসুদকে সিংগাইরের দাশেরহাটি এলাকায় ডেকে নেন ফরিদ। সেখানে মাসুদের গলায় গামছা পেছিয়ে চাকু দিয়ে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান।
[৪] ৫ অক্টোবর মাসুদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠায় সিংগাইর থানা পুলিশ। ওইদিনই মাসুসের ভাই মজনু মিয়া বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় মামলা করেন। এরপর আসামি গ্রেপ্তারে মাঠে নামে র্যাব-৪ এর একটি দল।
বুধবার রাতে সাভার থেকে হত্যাকারী ফরিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে সিংগাইর উপজেলার আলমাস হোসেনের অটোপার্সের দোকান থেকে অটোরিকশা এবং উপজেলার গোবিন্দল এলাকা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাকু ও গামছা এবং ফরিদের বাড়ি থেকে ভিকটিমের মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
[৫] মোজাম্মেল হক বলেন, প্রকৃতপক্ষে অটোরিকশাটির লোভে মাসুদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন ফরিদ। পরে সেই অটোরিকশার জন্য মাসুদকে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী খুন করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।