খালিদ আহমেদ: [২] বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চমঙ্গলবার এ রুল জারি করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
[৩] রুলের অন্য বিবাদীরা হলেন ‑ ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিকী ও প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক।
[৪] এর আগে দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি না হওয়ার বিষয়ে ডিএনসিসি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান সংশ্লিষ্টদের বরাবর একটি আবেদন জানান। কিন্তু সে আবেদনের কোন জবাব না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষকে মিজানুর রহমানের পদোন্নতির সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তি করতে আদেশ দেন। এরপরও সেই আবেদন নিষ্পত্তি না করায় মিজানুর রহমান সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ প্রেরণ করেন।
[৫] জানা গেছে, নোটিশ পাওয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে সে বরখাস্তের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আরেকটি রিট দায়ের করেন মিজানুর রহমান। সেই রিটের শুনানি নিয়ে গত ২৪ জানুয়ারি হাইকোর্ট বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন।
[৬] পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন জানায় সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। তবে গত ৪ মে আপিল বিভাগও হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। তবে আদালতের আদেশের পরও মিজানুর রহমানকে স্বপদে বহাল করা হয়নি। উল্টো মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিটি করপোরেশন। এছাড়া বরখাস্ত থাকাদের মতোই মিজানুর রহমানকে অর্ধেক আনুষঙ্গিক ভাতা দেওয়া হয়। এ অবস্থায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে অবমাননার মামলা করা হয়।