শিরোনাম
◈ মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে ঢাকা ফিরছিলেন রফিক, পথে প্রাণ গেল সবার ◈ স্থায়ী জামিন না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছি ড. ইউনূসের আইনজীবী ◈ উপজেলার ভোটে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ : ওবায়দুল কাদের  ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসসহ ৪ জনের জামিন ২৩ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি ◈ ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২৬ ◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ

প্রকাশিত : ০১ অক্টোবর, ২০২১, ০৮:৫৯ রাত
আপডেট : ০১ অক্টোবর, ২০২১, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হালুয়াঘাট শাকুয়াই ইউনিয়নের গ্রামকে শহরে রপান্তরে কাজ করছে মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন

আল আমিন: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে চান বর্ষিয়ান এই আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ নাজিম উদ্দিন। ময়মনসিংহ হালুয়াঘাট উপজেলার ৭ নং শাকুয়াই ইউনিয়ন পরিষদে ব্যাপক জনপ্রিয় পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান তিনি। এ ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে নাজিম উদ্দিনের মনোনয়ন জনপ্রত্যাশা।

১৯৬৯ এ বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক দিক্ষায় অনুপ্রানিত বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন ৬৯ বছর বয়সে এসেও আওয়ামী লীগের আদর্শে দন্ডায়মান। তিনি মানবসেবার মহান দায়িত্ব আমৃত্যু পালন করে যেতে চান প্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগের পতাকাতলে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার "গ্রাম হবে শহর" বাস্তবায়নে শাকুয়াই ইউনিয়নের প্রতিটি রাস্তা পাকা করেছেন সংসদ জুয়েল আরেং এর সার্বিক সহায়তায়। সরকারি সকল সুবিধা পৌছে দিয়েছেন ইউনিয়নবাসীর কাছে। পরীক্ষীত দায়িত্বশীল ও পরিশ্রমী মানুষ হিসাবে নাজিম উদ্দিন এলাকার জনগণের কাছে রোল মডেল।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের আদর্শে বলিয়ান রাজনীতিক নাজিম উদ্দিন কিশোর বয়সেই ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে হালুয়াঘাটের প্রচীনতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শাকুয়াই বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে অংশ গ্রহন করে আন্দোলনে ভূমিকা রাখেন। ১৯৭১ সালে ছাত্র অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ডাকে অংশগ্রহন করেন মুক্তিযুদ্ধে।

আওয়ামী বোদ্ধা নাজিম উদ্দিন ১৯৭৩ সালে গুরুদয়াল কলেজ হোস্টেল শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭৫ সালে ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজে স্নাতক শ্রেনীতে ভর্তি হয়ে ফের ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন। ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী সময়ে তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের হয়রানি ও নিপিড়নের শিকার হন তিনি।

নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েও নাজিম উদ্দিন ১৯৭৭ সালে স্নাতক পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। পড়ালেখা চলাকালীন সময়ে তিনি রূপালী ব্যাংক ময়মনসিংহ ছোটবাজার শাখায় চাকুরি পান। চাকুরিকালীন সময়ে তিনি রূপালী ব্যাংক কর্মচারী সংঘের বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচীত হন। পরে পদোন্নতি লাভ করলেও চাকুরি তাকে বেশিদিন বেঁধে রাখতে পারেননি। তিনি ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত ধোবাউড়া থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

সীমান্তবর্তী গরো পাহাড়ের পাদদেশ থেকে উঠে আসা টগবগে যুবক নাজিম উদ্দিনের ধারাবাহিক রাজনৈতিক পথচলা একসময় নজরকাড়ে তৎকালীন স্বৈরাচার সরকারের পালিত জান্তাদের। ১৯৮৬ সালে স্বৈরাচারী সরকার তাকে গ্রেফতার করে অসহনীয় নির্যাতনের শিকার করে। জনতার চাপে একসময় তাকে মুক্তি দিলেও নানাভাবে হয়রানি অব্যাহত রাখে।

১৯৮১ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে জনসেবায় নিয়োজিত হন নাজিম উদ্দিন। ১৯৮৮ সালে প্রথমবারের মতো ৭ নং শাকুয়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন। সেই থেকে জনসেবার দায়িত্ব পালন করে আসছেন আদর্শ আর একাগ্রতার দীক্ষায়। জনবান্ধন এই নেতা সততা ও নিষ্ঠার প্রমাণ দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ভিশন বাস্তবায়ন করছেন জনতার পাশে থেকে। তিনি কখনই নিজের গ্রাম ও এলাকা ছেড়ে দুরে থাকেননি।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন উন্নত দেশ গড়ার সংগ্রামকে বাস্তবায়নে কাজ করছেন বঙ্গকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। সেই উন্নয়ন ধারাবাহিকতা বাস্তবায়নে শাকুয়াই ইউনিয়নবাসীর জন্য সরকারের সকল সুবিধা পৌছে দিচ্ছেন চেয়ারম্যান আলহাজ নাজিম উদ্দিন। ১৯৯৩-৯৪ সালে তিনি উপজেলায় শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসাবে পুরস্কৃত হন। একইসাথে ১৯৮৮, ১৯৯৪ এবং হালুয়াঘাটের সর্ব শেষ আওয়ামীলীগের ২০০৬ সালে কমিটির উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন দেশ ও নিজের দল আওয়ামী লীগকে ভালোবেসে জনগণের অধিকার ও উন্নয়নে বিলিয়ে দিয়েছেন নিজেকে। জীবনের পরন্তবেলাও মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন একনিষ্ঠভাবে। তিনি কৃষকবান্ধব জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার নির্বাচনী এলাকায় অগ্রনি ভূমিকা পালন করেন। শাকুয়াই বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ এর কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সুচারুভাবে। অত্র প্রতিষ্ঠানের আজীবন দাতা সদস্য তিনি। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সামাজসেবা, ও ক্রীড়াঙ্গনে অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ হালুয়াঘাট প্রবীণ কৃষক কল্যাণ ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনকে অনবদ্য সম্মাননায় ভূষিত করেন। বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম ২০২০ সালে তাকে আজীবন সদস্য সম্মাননা স্মারক এবং শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসাবে গোল্ড মেডেল প্রদান করেন।

জনবান্ধন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নাজিম উদ্দিন হালুয়াঘাট উপজেলার শাকনাইট গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। পিতা মরহুম ইউনুস আলী, মাতা মরহুমা কুলবানু। তিন পুত্র সন্তানের জনক তিনি। যারা সকলেই উচ্চ শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অন্তপ্রাণ। পিতার আদর্শিক জীবন তাদের অনুপ্রেরণার বাতিঘর। শাকুয়াই ইউনিয়নবাসী এই পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে ভালোবাসেন প্রাকৃতিকভাবে। তাদের প্রত্যাশা শাকুয়াই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দল তার নিবেদিত কর্মী নাজিম উদ্দিনকে খুজে নিবে। তারা বিশ্বাস করেন এ জনপদের প্রকৃত উন্নয়ন তরান্বিত করতে আওয়ামী লীগের আদর্শিক নেতা চেয়ারম্যান মোঃ নাজিম উদ্দিন বিকল্পহীন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়