শিরোনাম
◈ ভোটারদের পছন্দে কোন দল এগিয়ে, জরিপে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য ◈ প্রবাসীদের জন্য ইতালিতে নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত প্রধান উপদেষ্টার মুখে ◈ ২০ বছর পর জেইসি বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ◈ নি‌জের মাঠে ভারত সিরিজ শুরুর আগে ধাক্কা খেলো অস্ট্রেলিয়া ◈ ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন  বন্ধ না করলে ব্লক হতে পারে : প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ◈ নতুন পে কমিশন প্রায় এক দশক পর গঠিত, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন দ্বিগুণের ইঙ্গিত ◈ মিরপুরে কেমিক্যাল ‍গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডে ৯ জন নিহত ◈ ‘তথ্য গোপনে’ ছড়াচ্ছে অ্যানথ্রাক্স ◈ সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা ◈ হয়রানি-জটিলতা নিরসনে বুধবার থেকে অনলাইনে জামিননামা

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৬:০০ বিকাল
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৬:০৮ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাজী নাসির উদ্দীন আহেমেদ: পেরুর সদ্য প্রয়াত বিতর্কিত গেরিলা নেতা প্রেসিদেন্তে গনসালো বা অ্যাবিমেল গুজমানের ছবিটা খুব বিখ্যাত

গাজী নাসির উদ্দীন আহেমেদ: ১৯৯২ সালে খুব নাটকীয় কায়দায় আলবার্তো ফুজিমোরির গোয়েন্দারা তাকে পেরুর রাজধানীর অভিজাত এক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছিল। অত্যাবশ্যকীয়ভাবে আমেরিকার সমর্থন নিয়ে। গুজমান গ্রেপ্তার হবার আগের এক যুগ ছিল আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম সহিংস রাজনৈতিক আন্দোলন ও রক্তপাতের। মাওবাদী গুজমান সশস্ত্র বিপ্লবের যে ছক নিয়ে ১৯৮০ সালে সংগ্রাম শুরু করেন আজ চার দশক পর তাকে হিংস্র সন্ত্রাস হিসেবেই চিহ্নিত করছে পশ্চিমা গণমাধ্যমসহ অনেকেই।

পেরুর কমিউনিস্ট পার্টি দিয়ে রাজনীতি শুরু করলেও ফিলোসফির এই অধ্যাপক তার লাইন বদলাতে বদলাতে চরমপন্থী হয়ে উঠেন। ১৯৫৯ সালে কিউবার বিপ্লবী ফিদেল কাস্ত্রো দ্বারা অনুপ্রাণিত গুজমান ১৯৬৫ সালে চীন সফর করেন। কাস্ত্রো ও সোভিয়েতের লাইনের বিপরীতে মাও সে তুংকে আকৃষ্ট হন তিনি। জনপ্রিয় ও সপ্রতিভ এই দর্শন অধ্যাপক ঠিক করলেন, গ্রাম দখল করে শহর ঘিরে ফেলবেন। উপায়টা পরিচিত মনে হচ্ছে না? হু।

চারু মজুমদার যেভাবে গ্রাম দিয়ে শহর দখল করবেন ভেবেছিলেন গুজমানও তাই করেছিলেন। অনিবার্যভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকর্মী ও ছাত্রদের সার্কেল থেকেই রাজনীতি প্রচার শুরু করেন তিনি। ছাত্রদের আকর্ষণ করতে পারতেন সহজে। মার্কস, লেনিন ও মাওয়ের পর নিজেকে মার্কসবাদের উত্তরসূরী তাত্ত্বিক হিসেবে ঘোষণাও করেন। এসইউসিআইয়ের শিবদাস ঘোষ শিবদাস ঘোষ লাগছে না? তবে গুজমানের প্রভাব ছিল অবিশ্বাস্য। এক পর্যায়ে পেরুর গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকাই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল তার দল শাইনিং পাথ। স্প্যানিয়ার্ডরা পেরু ছাড়ার পর থেকে পরের পাঁচশ বছর যারা পেরু শাসন করেছিল তাদের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের খেপিয়ে তুলেছিলেন গুজমান।

গোষ্ঠী চেতনাকে উস্কে বুর্জোয়া বিরোধী লড়াইয়ের কৌশলে রক্তপাতই সার হল। গ্রামের দরিদ্র মানুষ মেরে কেমনতর সমাজতন্ত্র কায়েম হতো আমি জানি না। শ্রেণীশত্রু খতমের নামে নকশালীরাই বা কি অর্জন করেছে? গুজমানের গ্রেপ্তারের পর পেরুজুড়ে আলবার্তো ফুজিমোরির একনায়কত্বই তো চলে। গুজমানের তিরিশ বছরের জেলজীবনের অবসান হল মৃত্যুর মাধ্যমে। গুজমানের প্রথম স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। শাইনিং পাথের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন তার স্ত্রী। কিংবা তার স্ত্রীই দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। কারণ, প্রথম স্ত্রীকে রিপ্লেস যিনি করেছিলেন তিনিও সেকেন্ড ইন কমান্ড। বিপ্লবী দলের সমাধানঅযোগ্য দ্বন্দ্ব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়