শুভ কামাল : মানুষ আয় বুঝে ব্যয় করে, আমার বেলায় উল্টাটা হয়, আমি ব্যয় বুঝে আয় করতে চেষ্টা করি। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আমার জব শুরু হবে জেনে জানুয়ারি মাসেই লেক্সাস গাড়ি কিনে ফেলেছিলাম নিজের কাছে থাকা কিছু টাকা আর কাজিনের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করে। অনেকেই বললেন, ভুল ডিসিশন হচ্ছে, তারপরেও কোনোভাবে চলে গেলো ঠিকই। বাসা কেনার টাকার ঋণ পরিশোধ করতে এমন টাকা মাসে মাসে মর্টগেজ দিতে হবে, বর্তমান চাকরি করলে বাসার মর্টগেজ, ট্যাক্স, আর ইনস্যুরেন্স, নানা প্রকার বিল দেওয়ার পরে খাওয়া আর অন্য খরচের জন্য হাতে বড়জোর তিন চারশো ডলার থাকবে। এতে আসলে সংসার চালানো একপ্রকার অসম্ভবই বলা চলে। আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে হয়তো এই ঝুঁকিতে যেতো না, আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতো।
তাই আমি ভাবলাম কিনেই যখন ফেলেছি তাহলে এখন সাইড ধান্ধা খুঁজতে হবে। কিছু বুটক্যাম্পে পার্ট্টাইম হিসেবে পড়াবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, ফ্রিল্যান্স কোডিং করে টাকা কামাবো ভেবে সেখানেও একাউন্ট খুলেছি। অন্যকিছু না পারলে ভাবলাম ফুড ডেলিভারী করবো অফিসের পরে। তার কি ইচ্ছা নতুন চাকরির অফার লেটার পেলাম। বেতন ৬৫ শতাংশ ইনক্রিজ। মনে হচ্ছে আর ফুড ডেলিভারী করা লাগবে না। তাও একেবারে ডেকে নিয়ে গিয়ে চাকরি দিলো, রিক্রুটার লিঙ্কডইন প্রোফাইলে নক করে ইন্টারভিউ এর ব্যবস্থা করলো, কয়েক রাউন্ডের ইন্টারভিউ শেষে সব ফাইনাল হলো। হোয়াট অ্যা টাইমিং ম্যান। এসব কোইনসিডেন্টাল ব্যাপারগুলো দেখে আমি আসলে অবিশ্বাসী হতে পারি না। আমি যতোই প্ল্যান করতে যাই সেসব বিফল হয়, হতাশ হয়ে যাবো যাবো ভাবার সময়ে এর চেয়েও ভালো প্ল্যানকে যেন কোথা থেকে বাস্তবায়ন করে দেন। আমার বাপ সারাজীবন স্বপ্ন দেখেই কাটিয়ে দিয়েছেন। আকাশ কুসুম প্ল্যান করেছেন। কীভাবে বাস্তবায়িত হবে জিজ্ঞেস করলে বলেছেন-‘আল্লায় দিবে’ আসলেও কুতায়া কুতায়া তার জীবনের প্রায় সকল স্বপ্নই সত্যি হয়ে গেছে। আমিও তো এভাবেই অর্ধেক জীবন পাড় করে ফেললাম। আমি তার কোনো অবদানকে অস্বীকার করবো, কীভাবে করবো। বাই দ্য ওয়ে, আমি এখন লিজেন্ডারি সিক্স ফিগার ক্লাবে, এখন কি আমি মোটিভেশন ব্যবসা শুরু করতে পারবো ফ্রান্স? ফেসবুক থেকে