আরমান কবির : [২] না বলে বাড়ি চলে যাওয়ার অপরাধে মো. আবদুল্লাহ (৯) নামে এক শিশুকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে ।
[৩] শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালমাঘাট এলাকার মোহাম্মদিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
[৪] ওই শিশু শিক্ষার্থী বর্তমানে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি হাসপাতালে ভর্তি আছে।
[৫] আহত শিক্ষার্থী গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের মনতলা গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে। সে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র।
[৬] শিক্ষার্থীর বাবা রবিউল ইসলাম জানান, তার ছেলে আবদুল্লাহ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কালমাঘাট এলাকার মোহাম্মদিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীতে লেখাপড়া করে।
[৭] তিনি বলেন, মাদ্রাসায় তার খাবারের প্লেট হারিয়ে যায়। এতে ভয়ে সে গত বৃহস্পতিবার সকালে তার বাড়ি মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী গ্রাম কালিয়াকৈর উপজেলার সলঙ্গা গ্রামে তার নানার বাড়িতে চলে যায়। পরদিন তার নানি তাকে বুঝিয়ে আবার মাদ্রাসায় হুজুর আজিজুল ইসলামের কাছে দিয়ে চলে আসেন।
[৮] শিশুর বাবা বলেন, আবদুল্লাহর নানি মাদ্রাসা থেকে চলে আসার পর মাদ্রাসার হুজুর আজিজুল ইসলাম শিশুটিকে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার বাম হাত ভেঙে দেয়। পরে ওই মাদ্রাসার হুজুর একটি অটোরিকশায় তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়ির লোকজন তাকে নিয়ে কালিয়াকৈর বাজারে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করে বলে তিনি জানান।
[৯] রবিউল ইসলাম, ছোট ছেলে বুঝতে পারেনি। অথচ হুজুর নির্মমভাবে পিটিয়ে ভাত ভেঙে দিয়েছে। চিকিৎসার জন্য প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা লেগেছে।
[১০] মাদ্রাসার হুজুর আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘তাকে মারধর করা হয়নি। সে আবার বাড়ি চলে যেতে চাইলে হাত ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়। এ সময় পড়ে গিয়ে তার হাত ভেঙে যায়।’ সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :