শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:৫৬ রাত
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:৫৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাসান মোর্শেদ: আমাদের প্রতিবাদ হচ্ছে ফেসবুকের স্ট্যাটাস বা শাহবাগের মানববন্ধন অথবা টিভি টক শো

হাসান মোর্শেদ: ‘আমাদের প্রতিবাদগুলো সব প্রতীকি হয়ে গেছে, তাই কার্যকারিতাও হারিয়েছে’ -অরুন্ধতী রায়ের এ কথা আমি প্রায় বাইবেলের মতো মানি। ধরা যাক পরীমনি বা ঝুমন দাস অথবা এরকম প্রতিনিয়ত নানা অসংগতি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করছি। আমাদের প্রতিবাদ হচ্ছে ফেসবুকের স্ট্যাটাস বা শাহবাগের মানববন্ধন অথবা টিভি টক শো। এসবে আদৌ কোনো প্রতিকার হয়? আমরা নিজেদের প্রবোধ দেই নিশ্চয় হয়। অন্ততঃ আমাদের বিবেকের কাছে তো আমরা পরিস্কার থাকছি যে, প্রতিবাদ করেছি। তিতা সত্য হচ্ছে, এসব প্রতিবাদে আসলে কিছুই হয় না। যা হয়,তা হলো বড়জোর আমাদের বিবেক তৃপ্ত হয়, নিজেদের কাছে আমরা একটু স্বচ্ছ থাকি- প্রতিবাদ তো করেছি। ওই অতোটুকু। অতোটুকুই যদি লক্ষ্য থাকে তাহলে ঠিকাছে। কিন্তু আমরা যদি মনে করি এসব করে আমরা সত্যি সত্যি ভিক্টিমের জন্য কিছু করে ফেলছি তাহলে সেটা বোকার স্বর্গে বাসের অধিক কিছু হয় না আসলে। ধরা যাক ঝুমন দাসের ঘটনা। পাঁচ মাস ধরে হাজার হাজার ফেসবুক স্ট্যাটাস, টক শোতে জ্বালাময়ী কথা, শাহবাগে মানব বন্ধন। এসবে ঝুমন দাসের লাভটা কী হলো?

ঝুমনের ফেসবুক স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে নোয়াগাঁওয়ে যখন হামলা হলো এবং ঝুমনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলো তখন সারা দেশ জুড়ে বিশাল তোলপাড় হলো। দলে দলে নোয়াগাঁও গিয়ে হাজির হলেন সংহতি জানাতে। কেউ কি তখন খেয়াল করেছিলেন পুলিশ ঝুমনের বিরুদ্ধে কী মামলা দায়ের করছে? তখন কী আমরা জনমত গঠন করেছিলাম? নিম্ন আদালত ও জেলা আদালতেই যাতে ঝুমন জামিন পেয়ে যায় তার জন্য যোগ্য আইনজীবির ব্যবস্থা কী আমরা করেছিলাম? প্রথমবার জেলা আদালতে কী ঘটেছিলো যে উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছিলেন আবার প্রথম থেকে জামিন আবেদন করে আসতে? আমরা কী এ বিষয়গুলো আদৌ জেনেছি, বুঝার চেষ্টা করেছি? এখন কী অবস্থায় আছে মামলা, কী করে উচ্চ আদালতে জামিন হতে পারে এসব নিয়ে কী এখনো আমরা কোন কাজ করছি? মাঠ গরম করার চেয়ে প্রকৃত একটিভিজম হচ্ছে ভিক্টিমের পাশে দাঁড়ানো, ভিক্টিম যাতে দ্রুততম সময় লাঞ্চনা থেকে রক্ষা পায় তার ব্যবস্থা করা।

এরজন্য যা লাগে তা হচ্ছে আইনী প্রক্রিয়া বুঝতে পারা। আইনী প্রক্রিয়া যাতে নির্ঝঞ্চাট হয় তার জন্য ভালো আইনজীবী লাগে, ভালো আইনজীবীর জন্য টাকা লাগে। সবচেয়ে জরুরি যা লাগে তা হচ্ছে ভিক্টিম ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, ভরসা দেওয়া, সাপোর্ট দেওয়া। রাষ্ট্র আছে, রাষ্ট্রে দুর্নীতি আছে, দুর্বলের প্রতি সবলের অত্যাচার আছে- এগুলো চোখের নিমিষে নাই হয়ে যাবে না। অনেক মানুষ ভিক্টিম হচ্ছেন প্রতিদিন, আরও বহু মানুষ হবেন। ফেসবুক, টক শো, মানব বন্ধনের আনুষ্ঠানিকতায় কিছুই হয়নি, হবেও না। সত্যি সত্যি ভিক্টিমদের পাশে দাঁড়াতে হলে, এ অবস্থার পরিবর্তন আনতে হলে আইন ও বিচার ব্যবস্থার আশ্রয় পাওয়ার কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। যারা আন্তরিক এক্টিভিস্ট তাঁরা এসব ভাবতে পারেন। আমি একটিভিস্ট না। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়