অমি রহমান পিয়াল : বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর টানা তিনদিন কারফিউ ছিলো, দেখামাত্র গুলির নির্দেশ ছিলো। এই কারফিউর কথা দিনমান রেডিও টিভিতে প্রচারিত হইছে, তাই তার মৃত্যুতে শোক কিংবা উল্লাস করার জন্য কোনো সিভিলিয়ান ১৮ আগস্ট পর্যন্ত কোনো শহরের রাস্তায় নামতে পারেনি। যদি কেউ তেমন দাবি করে, সে মিথ্যা বলছে। তারপরও বঙ্গবন্ধু ভাগ্যবান। ওনার লাশের দাফন করছিলো টুঙ্গিপাড়ার তার গ্রামের চারপাঁচ জন লোক। সেনাপ্রহরায় তার গুলি ঝাঁঝরা লাশটা পরম যত্নে গোসল করায়া ধর্মীয় রীতি মাইনা জানাজা পইড়া কবরে শোয়াইছে।
হ্যাঁ মাত্র চার-পাঁচজন লোক। জিয়ার জানাজার মতো লাখ লাখ লোকের ঢল নামে নাই। কিন্তু সেই লাখ লাখ লোক আসল জানাজা পড়ছে নাকি গায়েবানা জানাজা সেটা তারা নিজেরাও জানে না। কারণ জিয়ার লাশ সার্কিট হাউজে মিলে নাই। সেনাবাহিনী যে অলিখিত অঘোষিত কারফিউটা জারি করছিলো তখন সেটা জিয়ার কফিন নিয়া। কারও উকি দিয়া দেখার সৌভাগ্য হয় নাই জিয়ার লাশ। নির্ধারিত চিত্রনাট্য মেনে একটা কাঠের কফিন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন হইছে, তার আগে লাখ লাখ লোকের জানাজা পাইছে।
কিন্তু জিয়া? তিনি আসলে কই ছিলেন? তার সত্যিকার কবর কোখায়! এই বিভ্রান্তির জন্ম দেয় চন্দ্রিমা উদ্যানের পতিতারা। তারা নিশ্চিন্তে যৌনকর্ম করে জিয়ার স্মৃতিবেদীতে। যেন নিশ্চিত জানে ভেতরে কোনো শবদেহ ছিলো না কোনো কালেই! লেখক : অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :