সমীরণ রায়: [২] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জ্ঞানচক্ষু খুলে গেছে। সাহসের সঙ্গে, সততার সঙ্গে উনি নিজের দলের দিকে তাকাতে পেরেছেন। উনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর বাড়ি যখন আক্রান্ত হয়েছিলো তখন বঙ্গবন্ধু ফোন করেছিলেন তার দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছে। ফোন করেছিলেন তোফায়েল আহমেদ, আব্দুল রাজ্জাক, সেনাপ্রধান সফিউল্লাহ এবং আরো অনেককে। উনি ফোন করে অনুনয়-বিনয় করেছিলেন, আমার এখানে আসো, কী হচ্ছে তোমরা দেখো।
[৩] শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে গণসংহতি আন্দোলনের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি তো বললেন না উনি (বঙ্গবন্ধু) জিয়াউর রহমানকে কেনো ফোন করেননি? জেনারেল ওসমানীকে কেনো ফোন করেননি? বিডিআর প্রধান জেনারেল খলিলকে কেনো ফোন করেননি? খালেদ মোশাররফকে কেনো ফোন করেননি? সবচেয়ে বড় কথা যারা স্বাধীনতা এনেছিলেন সেই তাজউদ্দীনকে কেনো ফোন করেননি? সৈয়দ নজরুল ইসলামকে কেনো ফোন করেননি। উনি কি বিব্রতবোধ করছিলেন? সেদিন বঙ্গবন্ধু পাশে যারা দাঁড়াতে পারতেন তাদের কাউকে তিনি ডাকেননি।
[৪] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিহাস ভুলে গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন শেখ হাসিনা বলতে শুরু করেছেন চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই। উনি কী করে জানলেন? তার বডি যারা রিসিভ করেছিলেন তাদের অনেকই বেঁচে আছেন, অনেকেই আবার বেঁচে নেই। তার পোস্টমর্টেম করেছিলেন ডা. তোফায়েল। তিনি এখনো বেঁচে আছেন। সর্বকালের সবচেয়ে বৃহৎ জনসমাগম হয়েছিলো জিয়াউর রহমানের মরদেহ যখন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আনা হয়। সম্পাদনা: মিনহাজুল আবেদীন।