ইমরুল শাহে: মাদককান্ডে অভিযুক্ত পরীমণি কাশিমপুর কারাগারে কেমন আছেন? তাকে কারাগারে প্রেরণের দ্বিতীয় দিনেই কারা কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল এ বিষয়টি। তখন কারা সূত্রে জানা গিয়েছিল তিনি একদম চুপচাপ আছেন। কারো সঙ্গে ভালোমন্দ কোনো কথা বলছেন না। যা খেতে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে কোনো আপত্তি না করে নিরবে খেয়ে উঠছেন। কিন্তু এসবের বাইরেও কিছু বিষয় রয়ে গেছে। তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর কিছু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার সময় একজন কর্মকর্তা জানতে চান ‘কেমন আছেন পরীমণি’। পরীমণির জবাব, ‘মশার কারণে সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। এছাড়া এতজন একসঙ্গে থাকতে গিয়েও কষ্ট হচ্ছে।
এভাবে কোনো দিন থাকিনি। অশান্তিতে আছি।’ পরে কারা কর্মকর্তারা তাকে বলেন, ‘কারাগারে শান্তির খোঁজ করলে চলবে? কারাগার চলে কারাবিধি অনুযায়ী। বন্দি হিসেবে আপনি যা সুবিধা পাওয়ার কথা, এর বেশি পাবেন না।’ কারা সূত্রের বরাত দিয়ে দৈনিক কালেরকন্ঠের অনলাইন সংস্করণের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রত্যেক আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর কারাগারের রেজিস্টারে তার নাম-পরিচয়সহ সব কিছু লেখা হয়। পরীমণির ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি।
পরদিন ১৪ আগস্ট সকালের দিকে মহিলা ডাক্তার গিয়ে পরীমণির স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ তার শনাক্তকারী চিহ্ন লিপিবদ্ধ করেন। এরপর কারা কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রারে তার নাম-ঠিকানাসহ তথ্য লিপিবদ্ধ করতে যান। ওই সময় এক কারা কর্মকর্তা তার কাছে জানতে চান, ‘কেমন আছেন আপনি?’ পরে কারা কর্মকর্তারা তার নাম ও মা-বাবার নামের পর জিজ্ঞেস করেন, তিনি ম্যারিড না আনম্যারিড। পরীমণি বলেন, ‘আমি আনম্যারিড।’ এ তথ্য রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয় বলে জানা গেছে। কারা সূত্র জানায়, গত ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় পরীমনিকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে আরো ১৩ জনের সঙ্গে কোয়ারেন্টিন সেলে থাকতে দেওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন আলোচিত মডেল পিয়াসা। আর পরীমণিকে নেওয়ার দিন সেখানে ঢোকেন আরেক আলোচিত মডেল মরিয়ম আক্তার মৌ।