শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট, ২০২১, ০৪:৪৭ সকাল
আপডেট : ২৩ আগস্ট, ২০২১, ০৪:৪৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আফসান চৌধুরী: দেশ যখন ভাঙে , মানুষও ভাঙে

আফসান চৌধুরী: দেশে বড় কোনো পরিবর্তন হলে সাধারণ মানুষের জীবনে কতো আঘাত পড়ে তা আমরা ভাবি না। বড় রাজনীতির ধাক্কাটাই দেখি, শুনি। কানাডা থাকতে রাশিয়া থেকে আসা অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হতো, তাদের গল্পগুলা কষ্ট দিতো। তেমন একজন ছিলো মারিয়া। [২] মেয়েটার বয়স ৩০ এর মতো। যে টিভি চ্যানেলে মিশুক আর আমি জড়িত ছিলাম মেয়েটা,তার সঙ্গে ছিলো। মেয়েটার মাথায় এত্তো চুল, সুন্দর , কালো, ঘন। আমরা বলতাম, ‘মারিয়া তোমার চুল দেখাও। মেয়েটা হাঁসতে হাঁসতে, চলে যেতে যেতে চুলটা খুলে দিয়ে মজা করতো। আমরা তালি দিতাম।

[৩] একদিন আমাকে নিজের কথা বলতে বলতে জানালো, সে ডিভোর্স করে চলে এসেছে। ‘ আগে পয়সা ছিলো না , একটা ছোট্ট ফ্ল্যাটে তার বাবা-মার সঙ্গে থাকতাম। তাও অনেক সুখে ছিলাম , ঝগড়া হলে সেই একই বিছানায় দুজনে রাতে শুতে যেতাম। ঝগড়া বেশিক্ষণ থাকে না। কিন্তু যখন রাশিয়া ভাঙতে শুরু করলো, স্বামী ব্যবসা শুরু করলো। আমরা সহসাই বড়োলোক হয়ে গেলাম। বিরাট ফ্লাট, গাড়ি সব কিন্তু আমরা দুজনে যেন একে অন্য থেকে আলাদা হয়ে গেলাম। এমনকি আলাদা ঘর, বাড়ি হয়ে গেলো। একদিন আর একসঙ্গে থাকার মানে হয় না ভেবে আলাদা হয়ে গেলাম। তারপর কানাডা চলে এলাম। গরিব থাকলে ভালো হতো। আমরা একসঙ্গেই থাকতাম।’ [৪] ইতিহাস চলতেই থাকে , কাউকে ক্ষমা করে না, পাত্তাও দেয় না। লেখক : গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

আফসান চৌধুরী: দেশে বড় কোনো পরিবর্তন হলে সাধারণ মানুষের জীবনে কতো আঘাত পড়ে তা আমরা ভাবি না। বড় রাজনীতির ধাক্কাটাই দেখি, শুনি। কানাডা থাকতে রাশিয়া থেকে আসা অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হতো, তাদের গল্পগুলা কষ্ট দিতো। তেমন একজন ছিলো মারিয়া। [২] মেয়েটার বয়স ৩০ এর মতো। যে টিভি চ্যানেলে মিশুক আর আমি জড়িত ছিলাম মেয়েটা,তার সঙ্গে ছিলো। মেয়েটার মাথায় এত্তো চুল, সুন্দর , কালো, ঘন। আমরা বলতাম, ‘মারিয়া তোমার চুল দেখাও। মেয়েটা হাঁসতে হাঁসতে, চলে যেতে যেতে চুলটা খুলে দিয়ে মজা করতো। আমরা তালি দিতাম।

[৩] একদিন আমাকে নিজের কথা বলতে বলতে জানালো, সে ডিভোর্স করে চলে এসেছে। ‘ আগে পয়সা ছিলো না , একটা ছোট্ট ফ্ল্যাটে তার বাবা-মার সঙ্গে থাকতাম। তাও অনেক সুখে ছিলাম , ঝগড়া হলে সেই একই বিছানায় দুজনে রাতে শুতে যেতাম। ঝগড়া বেশিক্ষণ থাকে না। কিন্তু যখন রাশিয়া ভাঙতে শুরু করলো, স্বামী ব্যবসা শুরু করলো। আমরা সহসাই বড়োলোক হয়ে গেলাম। বিরাট ফ্লাট, গাড়ি সব কিন্তু আমরা দুজনে যেন একে অন্য থেকে আলাদা হয়ে গেলাম। এমনকি আলাদা ঘর, বাড়ি হয়ে গেলো। একদিন আর একসঙ্গে থাকার মানে হয় না ভেবে আলাদা হয়ে গেলাম। তারপর কানাডা চলে এলাম। গরিব থাকলে ভালো হতো। আমরা একসঙ্গেই থাকতাম।’ [৪] ইতিহাস চলতেই থাকে , কাউকে ক্ষমা করে না, পাত্তাও দেয় না। লেখক : গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়