শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট, ২০২১, ০৪:৪৭ সকাল
আপডেট : ২৩ আগস্ট, ২০২১, ০৪:৪৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আফসান চৌধুরী: দেশ যখন ভাঙে , মানুষও ভাঙে

আফসান চৌধুরী: দেশে বড় কোনো পরিবর্তন হলে সাধারণ মানুষের জীবনে কতো আঘাত পড়ে তা আমরা ভাবি না। বড় রাজনীতির ধাক্কাটাই দেখি, শুনি। কানাডা থাকতে রাশিয়া থেকে আসা অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হতো, তাদের গল্পগুলা কষ্ট দিতো। তেমন একজন ছিলো মারিয়া। [২] মেয়েটার বয়স ৩০ এর মতো। যে টিভি চ্যানেলে মিশুক আর আমি জড়িত ছিলাম মেয়েটা,তার সঙ্গে ছিলো। মেয়েটার মাথায় এত্তো চুল, সুন্দর , কালো, ঘন। আমরা বলতাম, ‘মারিয়া তোমার চুল দেখাও। মেয়েটা হাঁসতে হাঁসতে, চলে যেতে যেতে চুলটা খুলে দিয়ে মজা করতো। আমরা তালি দিতাম।

[৩] একদিন আমাকে নিজের কথা বলতে বলতে জানালো, সে ডিভোর্স করে চলে এসেছে। ‘ আগে পয়সা ছিলো না , একটা ছোট্ট ফ্ল্যাটে তার বাবা-মার সঙ্গে থাকতাম। তাও অনেক সুখে ছিলাম , ঝগড়া হলে সেই একই বিছানায় দুজনে রাতে শুতে যেতাম। ঝগড়া বেশিক্ষণ থাকে না। কিন্তু যখন রাশিয়া ভাঙতে শুরু করলো, স্বামী ব্যবসা শুরু করলো। আমরা সহসাই বড়োলোক হয়ে গেলাম। বিরাট ফ্লাট, গাড়ি সব কিন্তু আমরা দুজনে যেন একে অন্য থেকে আলাদা হয়ে গেলাম। এমনকি আলাদা ঘর, বাড়ি হয়ে গেলো। একদিন আর একসঙ্গে থাকার মানে হয় না ভেবে আলাদা হয়ে গেলাম। তারপর কানাডা চলে এলাম। গরিব থাকলে ভালো হতো। আমরা একসঙ্গেই থাকতাম।’ [৪] ইতিহাস চলতেই থাকে , কাউকে ক্ষমা করে না, পাত্তাও দেয় না। লেখক : গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

আফসান চৌধুরী: দেশে বড় কোনো পরিবর্তন হলে সাধারণ মানুষের জীবনে কতো আঘাত পড়ে তা আমরা ভাবি না। বড় রাজনীতির ধাক্কাটাই দেখি, শুনি। কানাডা থাকতে রাশিয়া থেকে আসা অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হতো, তাদের গল্পগুলা কষ্ট দিতো। তেমন একজন ছিলো মারিয়া। [২] মেয়েটার বয়স ৩০ এর মতো। যে টিভি চ্যানেলে মিশুক আর আমি জড়িত ছিলাম মেয়েটা,তার সঙ্গে ছিলো। মেয়েটার মাথায় এত্তো চুল, সুন্দর , কালো, ঘন। আমরা বলতাম, ‘মারিয়া তোমার চুল দেখাও। মেয়েটা হাঁসতে হাঁসতে, চলে যেতে যেতে চুলটা খুলে দিয়ে মজা করতো। আমরা তালি দিতাম।

[৩] একদিন আমাকে নিজের কথা বলতে বলতে জানালো, সে ডিভোর্স করে চলে এসেছে। ‘ আগে পয়সা ছিলো না , একটা ছোট্ট ফ্ল্যাটে তার বাবা-মার সঙ্গে থাকতাম। তাও অনেক সুখে ছিলাম , ঝগড়া হলে সেই একই বিছানায় দুজনে রাতে শুতে যেতাম। ঝগড়া বেশিক্ষণ থাকে না। কিন্তু যখন রাশিয়া ভাঙতে শুরু করলো, স্বামী ব্যবসা শুরু করলো। আমরা সহসাই বড়োলোক হয়ে গেলাম। বিরাট ফ্লাট, গাড়ি সব কিন্তু আমরা দুজনে যেন একে অন্য থেকে আলাদা হয়ে গেলাম। এমনকি আলাদা ঘর, বাড়ি হয়ে গেলো। একদিন আর একসঙ্গে থাকার মানে হয় না ভেবে আলাদা হয়ে গেলাম। তারপর কানাডা চলে এলাম। গরিব থাকলে ভালো হতো। আমরা একসঙ্গেই থাকতাম।’ [৪] ইতিহাস চলতেই থাকে , কাউকে ক্ষমা করে না, পাত্তাও দেয় না। লেখক : গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়