শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট, ২০২১, ০৪:৪৭ সকাল
আপডেট : ২৩ আগস্ট, ২০২১, ০৪:৪৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আফসান চৌধুরী: দেশ যখন ভাঙে , মানুষও ভাঙে

আফসান চৌধুরী: দেশে বড় কোনো পরিবর্তন হলে সাধারণ মানুষের জীবনে কতো আঘাত পড়ে তা আমরা ভাবি না। বড় রাজনীতির ধাক্কাটাই দেখি, শুনি। কানাডা থাকতে রাশিয়া থেকে আসা অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হতো, তাদের গল্পগুলা কষ্ট দিতো। তেমন একজন ছিলো মারিয়া। [২] মেয়েটার বয়স ৩০ এর মতো। যে টিভি চ্যানেলে মিশুক আর আমি জড়িত ছিলাম মেয়েটা,তার সঙ্গে ছিলো। মেয়েটার মাথায় এত্তো চুল, সুন্দর , কালো, ঘন। আমরা বলতাম, ‘মারিয়া তোমার চুল দেখাও। মেয়েটা হাঁসতে হাঁসতে, চলে যেতে যেতে চুলটা খুলে দিয়ে মজা করতো। আমরা তালি দিতাম।

[৩] একদিন আমাকে নিজের কথা বলতে বলতে জানালো, সে ডিভোর্স করে চলে এসেছে। ‘ আগে পয়সা ছিলো না , একটা ছোট্ট ফ্ল্যাটে তার বাবা-মার সঙ্গে থাকতাম। তাও অনেক সুখে ছিলাম , ঝগড়া হলে সেই একই বিছানায় দুজনে রাতে শুতে যেতাম। ঝগড়া বেশিক্ষণ থাকে না। কিন্তু যখন রাশিয়া ভাঙতে শুরু করলো, স্বামী ব্যবসা শুরু করলো। আমরা সহসাই বড়োলোক হয়ে গেলাম। বিরাট ফ্লাট, গাড়ি সব কিন্তু আমরা দুজনে যেন একে অন্য থেকে আলাদা হয়ে গেলাম। এমনকি আলাদা ঘর, বাড়ি হয়ে গেলো। একদিন আর একসঙ্গে থাকার মানে হয় না ভেবে আলাদা হয়ে গেলাম। তারপর কানাডা চলে এলাম। গরিব থাকলে ভালো হতো। আমরা একসঙ্গেই থাকতাম।’ [৪] ইতিহাস চলতেই থাকে , কাউকে ক্ষমা করে না, পাত্তাও দেয় না। লেখক : গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

আফসান চৌধুরী: দেশে বড় কোনো পরিবর্তন হলে সাধারণ মানুষের জীবনে কতো আঘাত পড়ে তা আমরা ভাবি না। বড় রাজনীতির ধাক্কাটাই দেখি, শুনি। কানাডা থাকতে রাশিয়া থেকে আসা অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হতো, তাদের গল্পগুলা কষ্ট দিতো। তেমন একজন ছিলো মারিয়া। [২] মেয়েটার বয়স ৩০ এর মতো। যে টিভি চ্যানেলে মিশুক আর আমি জড়িত ছিলাম মেয়েটা,তার সঙ্গে ছিলো। মেয়েটার মাথায় এত্তো চুল, সুন্দর , কালো, ঘন। আমরা বলতাম, ‘মারিয়া তোমার চুল দেখাও। মেয়েটা হাঁসতে হাঁসতে, চলে যেতে যেতে চুলটা খুলে দিয়ে মজা করতো। আমরা তালি দিতাম।

[৩] একদিন আমাকে নিজের কথা বলতে বলতে জানালো, সে ডিভোর্স করে চলে এসেছে। ‘ আগে পয়সা ছিলো না , একটা ছোট্ট ফ্ল্যাটে তার বাবা-মার সঙ্গে থাকতাম। তাও অনেক সুখে ছিলাম , ঝগড়া হলে সেই একই বিছানায় দুজনে রাতে শুতে যেতাম। ঝগড়া বেশিক্ষণ থাকে না। কিন্তু যখন রাশিয়া ভাঙতে শুরু করলো, স্বামী ব্যবসা শুরু করলো। আমরা সহসাই বড়োলোক হয়ে গেলাম। বিরাট ফ্লাট, গাড়ি সব কিন্তু আমরা দুজনে যেন একে অন্য থেকে আলাদা হয়ে গেলাম। এমনকি আলাদা ঘর, বাড়ি হয়ে গেলো। একদিন আর একসঙ্গে থাকার মানে হয় না ভেবে আলাদা হয়ে গেলাম। তারপর কানাডা চলে এলাম। গরিব থাকলে ভালো হতো। আমরা একসঙ্গেই থাকতাম।’ [৪] ইতিহাস চলতেই থাকে , কাউকে ক্ষমা করে না, পাত্তাও দেয় না। লেখক : গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়