আব্দুম মুনিব: [২] বৃদ্ধ কানু মালিথার বয়স সত্তরের কোঠায়। চার কন্যার সবার বিয়ে হয়ে চলে গেছে স্বামীর বাড়ি। কোন ছেলে না থাকায় একমাত্র বৃদ্ধা স্ত্রী সাজেদা বেগমকে নিয়ে গড়াইয়ের পাড়ে একটি ঘরের মধ্যে ছিল তাঁর সংসার। সারাদিন শহরের বাড়ি বাড়ি ঘুরে পুরাতন বালতি মেরামত করেন কানু মালিথা। কাজ শেষে সন্ধায় বাড়ি ফিরে গড়াই নদীতে নেমে গোসল সেরে আত্মতৃপ্তি।
[৩] জীবনের প্রতিটি মুহুত্ব কেটেছে গড়াইয়ের পাড়ে। শৈশব-কৈশরের সব স্মৃতিই মিশে আছে গড়াইয়ের সাথে। এক ঘরের সংসারে কোন অভাব ছিল না তাঁদের। সুখেই চলছি। তাঁদের শেষ জীবন। সেই গড়াইয়ের করাল গ্রাসের স্বীকার হয়েছেন তিনি। শেষ সম্বল টিনের তৈরি একটি ঘর ছিল। সেই ঘরটি শুক্রবার রাতে ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। এতে চরম বিপদে পড়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। বর্তমানে সে কোথায় আশ্রয় নিবে সেটিও জানা নেই তার। সেই রাতে গড়াই নদীর ভাঙ্গনে কানু মালিথার মত কুষ্টিয়ার হরিপুর ইউনিয়নে ঘরহারা আরো অনেক পরিবার। এদিকে ভাঙ্গনরোধে কার্যকর কোন উদ্যোগ নেয়নি কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড। শনিবার সকালে কিছু বালিভর্তি জিও ব্যাগ ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় ফেলেছে, যা প্রয়োজনের থেকে অনেক সল্প।
[৪] হরিপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান সম্পা মাহমুদ জানান, ভাঙ্গন শুরুর আগে থেকেই সংস্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হলেও সময়মত কার্যকরি পদক্ষেপ না নেওয়ায় আজ এই অবস্থা।
আপনার মতামত লিখুন :