বাবুল আক্তার: [২] চলতি মৌসুমে বাজারে ধানের দাম পেয়ে খুশি চাষীরা। বিগত বছরের তুলনায় এবার বোরো ধানের ফলন যেমন বেশি হয়েছে তেমনি বাজারে ধানের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। তার পরেও গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় এক’শ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ কম হয়েছে। জমিতে পাটের বিজ বপনের সময় বাজারে পাটের দাম বেশি থাকায় কৃষকরা পাট চাষে ঝুকে পড়ায় রোপা আমন চাষ কিছুটা কম হয়েছে বলে মনে করছেন উপজেলা কৃষি অফিস।
[৩] আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল ছাড়া মাঠে মাঠে আমন ধান রোপন প্রায় শেষের দিকে। সময়োপযোগী ও পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় জমি পরিচর্চা, বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন করে চারা রোপণে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা।
[৪] উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছরে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৭ হাজার ৮’শ ৭৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান রোপণের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উন্নত জাতের এরাইজেড গোল্ড ৭ হাজার ৫ হেক্টর। ধানী গোল্ড ৪ হাজার ৪’শ ৪৫ হেক্টর, এবং উফসি ব্রি-৮৭, ৫১,৪৯ ৩৪, ৮০ জাতের ধান ৫ হাজার ৫’শ ৫৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে।
[৫] উপজেলরার বাদে খড়িঞ্চা গ্রামের কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, বোরো মৌসুমে ছয় বিঘা জমিতে আবাদ করেছিলাম। ফলন ভালো হয়েছে। দামও সন্তোষজনক পেয়েছি। এবার পাঁচ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছি। এ বছর আমন চাষে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। বৃষ্টির পানিতে জমি চাষাবাদ করা হয়েছে।
[৬] একই এলাকার আসাদুল, জয়নাল, নুরইসলাম সহ অনেকেই জানান, একবিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে রোপা আমন চাষ করতে খরচ হবে প্রায় ৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে চাষ করতে ১ হাজার ৫’শ টাকা, চারা রোপন করতে ১ হাজার ২’শ টাকা, সেচ দিতে ১ হাজার ৫’শ টাকা এবং সার পরিচর্চা বাবদ আরো ৩ হাজার টাকা।
[৭] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন সরকার বলেন, বাজারে ধানের ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। নিম্নাঞ্চলে জমি রয়েছে এমন চাষীদের জন্য সরকরি প্রণোদনার বীজের চারা এরাইজেড গোল্ড রোপন করলে ভালো হবে। এই জাতের ধান চার-পাঁচদিন পানিয়েত তলিয়ে থাকলেও কোনো ক্ষতি হবে না। তা ছাড়া অন্যান্য জাতের চেয়ে ফলনও বেশি। সম্পাদনা: হ্যাপি