মনিরুল ইসলাম: [২] রাজধানীর মোহাম্মদপুর কিশলয় উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। গণটিকাদান কেন্দ্র। উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৯ নং ওয়ার্ড।
[৩] কোভিড-১৯-এর টিকা নিতে সোমবার ভোর ৫টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছে এই ওয়ার্ডর বাসিন্দারা।
[৪] সোমবার সকাল ৯ টায় শুরু টিকা দেওয়ার কার্যক্রম। গেট খোলা মাত্রই হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়েন লোকজন। পুরুষ, মহিলা ও বয়স্ক লোকজন দিলেন স্কুল চত্বরে ঢোকার দলে।
[৫] লাইনে দাঁড়ানো শুরু হয় চিল্লাচিল্লি। ঠেলাঠেলি। এক পর্যায়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা গেইট বন্ধ করে দেন।
[৬] কিশলয় স্কুলের গেইটের বাইরে অগনিত লোক। হৈচৈ শুরু হলে ২৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ সলু এসে হাজির হন। সাথে স্বেচ্ছাসেবক দল। কাউন্সিলর তার লোকবল দিয়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। চলে টিকা দান। তবে দেখা যায় অনেকের মুখের মাস্ক নেই। মানছেন না স্বাস্থ্য বিধি।
[৭] ২৯ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর সলিমুল্লাহ সলু বলেন, প্রতিদিন ৩০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। চলবে ১২ আগষ্ট পর্যন্ত। লাইন ধরে সুশৃঙ্খল ভাবে টিকা নিন।
[৮] তার বক্তব্যের পর উপস্থিত টিকা নিতে আসা পুরষ ও মহিলারা টিকা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা গ্রহণ করেন।
[৯] এদিকে, বয়স্ক সালমা খাতুন মোপুর মার্কেট ক্যাম্পের বাসিন্দা টিকা নেওয়া শেষে আলাপকালে জানান, রোববার সকাল ৭টার সময় এসে লাইনে দাঁড়ান। কিন্তু তার আগেই অনেকে লাইনে দাঁড়ানোর কারণে গতকাল তিনি টিকা নিতে পারেননি। এ কারণে আজ ভোর ৫টার সময় এসে লাইনে দাঁড়ান। আজ টিকা মিললো।
[১০] তিনি বলেন, এখানে প্রতিদিন দেড়শ জন নারী ও দেড়শ জন পুরুষকে টিকা দেয়া হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিতে হয়। অনেকে আবার টিকা নিতে পারেন না।
[১১] সকাল ৯টার দিকে সরেজমিনে টিকাকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, অন্তত দেড় হাজার মানুষ কিশলয় স্কুলের ভেতরে ও বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। সাড়ে ৯টার দিকে তাদের মধ্য থেকে দেড়শ জন নারী ও দেড়শ জন পুরুষকে ভেতরে ঢুকিয়ে নেয়া হয়। বাকিদের জানিয়ে দেয়া হয়- আজ আর টিকা পাওয়া যাবে না, কাল আবার আসতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :