হাবিবুর রহমান: [২] নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নারায়নডহর এলাকায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর ব্যক্তিমালিকানা জায়গায় স্থাপন করা হয়।
[২] ৩০ জুলাই সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়ন প্রকল্পের ১টি ঘর অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য ভাঙ্গা হচ্ছে।
[৩] উল্লেখ্য গত ১২ জুলাই নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বরাবরে হিন্দু পরিবারের জায়গা দখল করে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ঘর নির্মাণের অভিযোগ করেন নারায়নডহর গ্রামের মৃত সুধীর চন্দ্র দাসের ছেলে আনন্দ চন্দ্র দাস অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার সরেজমিনে তদন্তে আসেন নেত্রকোনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ মনির হোসেন।
[৪] ১৭ জুলাই দিনব্যাপি ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা অমল চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে মাপজোখ করে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্প মৃত সুধীর চন্দ্র দাসের কিছু ভূমি দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে।
[৫] পরে ১৮ জুলাই পরিদর্শন করেন নেত্রকোনা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জিয়া আহমেদ সুমন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মনির হোসেন। তারপর ৩০ জুলাই ১টি ঘর ভাঙ্গার কার্যক্রম শুরু হয়।
[৬] এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুম বলেন, “আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি ও উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঘরটি স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
[৭] উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন এ বিষয়ে বলেন, “আশ্রয়ন প্রকল্পে ১৪টি ঘরের মধ্যে ২টি ঘর উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মান করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি ঘর ব্যক্তিমালিকানা জায়গার কিছু অংশে পড়েছে। পরে জমির মালিকের কাছ থেকে ক্রয়ের প্রস্তাব দিলেও তারা বিক্রি করেননি। তাই এই ঘরটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং এর ব্যয়ভার আমিই বহন করব।
আপনার মতামত লিখুন :