সিমু নাসের: বাবার কোভিডজনিত কারণে গত কয়েকদিনে তিনটা হাসপাতালের বর্তমান পরিস্থিতি দেখার সুযোগ হয়েছে আমার (দুটো কিশোরগঞ্জ একটা ঢাকায়)। অবস্থা এতোটা ভয়াবহ তা চিন্তা করার মতো না। হাপসাতালে না যাওয়ার আগে বোঝার কোনো উপায়ও নাই। যদিও খুব কম পার্সেন্ট রোগী কোভিড নিয়ে হাসপাতাল পর্যন্ত আসতে পারছে।
ডাক্তারদের ভাষ্যমতে, আব্বার দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া থাকায় তার পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যায় নাই, আর আম্মার পরিস্থিতিও খারাপ হয় নাই। কিশোরগঞ্জে আমাদের এলাকায় আব্বার বয়সী অনেকের মৃত্যু সংবাদ পাচ্ছি। আক্রান্তের সংখ্যা অগণিত। তবুও ভ্যাকসিনের প্রতি এলাকায় মানুষের একটা অদৃশ্য ভয়, উদাসীনতা। ফোনে ফোনে আত্মীয়-স্বজন-প্রতিবেশীদের ভ্যাকসিন নিতে রাজি করাচ্ছি। নিজে রেজিস্ট্রেশন করে দিচ্ছি।
প্লিজ, প্লিজ যে যেখানে আছেন দয়া করে ভ্যাকসিন নিন। আপনার আত্মীয়-স্বজন-এলাকার লোকজনদের কনভিন্স করান, তাদের ফোন দিন, রেজিস্ট্রেশন করতে সহায়তা করুন, ভ্যাকসিনেশন নিশ্চিত করুন। ওয়াজকারীরা আর কিটোর হাতুড়ে ডাক্তাররা মফস্বলের মানুষদের ওপর অলরেডি ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছে। আপনার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তাদের আর কাজ হবে না। সরাসরি ফোনে কথা বলুন, তাদের মতো করে বুঝান কেন ভ্যাকসিন ছাড়া বাঁচার উপায় নেই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :