লিহান লিমা: [২] কয়েক বছরের চেষ্টার পর হাসানুল বান্নাহ খান অস্ট্রেলিয়ায় দক্ষ পেশাজীবী আঞ্চলিক ভিসা পান। খানের মতো যারা অস্ট্রেলিয়ায় আবাস গড়তে চান তাদের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় ভিসা পদ্ধতি। যদি তিনি কমপক্ষে দুই বছর অস্ট্রেলিয়ার কোনো একটি অঞ্চলে থাকেন তবে তার জন্য স্থায়ী আবাসনের পথ খুলে যাবে এবং তিনি স্ত্রী-সন্তানসহ অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী হতে পারবেন। এবিসি নিউজ
[৩] কিন্তু করোনা খানের পরিকল্পনায় আঘাত হানে। কয়েক মাস অস্ট্রেলিয়ায় থাকার পর ২০১৯ সালে পারিবারিক কারণে তাকে দেশে ফিরতে হয়। ২০২০ সালের ১৮মার্চ তিনি যখন অস্ট্রেলিয়া ফেরার পরিকল্পনা করেছিলেন তখনই মহামারীর কারনে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। প্রায় দেড় বছরের মতো সঞ্চয়ের অর্থ দিয়ে ঢাকায় বাস করছেন তিনি। প্রায় ১৮বার অস্ট্রেলিয়ায় বিলম্বে প্রবেশের আবেদন করলেন তিনি। কিন্তু প্রতিবার প্রত্যাখ্যাত হয়। তার ছেলে নায়েল অস্ট্রেলিয়ায় স্কুলে পড়ছে। স্ত্রী-সন্তানসহ নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে খান অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।
[৪] এবং এই তালিকায় খান একা নন। মার্চে দেশটির সরকার জানিয়েছে, প্রায় ৮ হাজার ৫’শ দক্ষ আঞ্চলিক ভিসাধারী বিদেশে আটকা পড়েছে। মহামারীর কারণে বিদেশী শিক্ষার্থী, শরণার্থী এবং অভিবাসীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
[৫] দক্ষ আঞ্চলিক ভিসাধারীরা অস্ট্রেলিয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রবেশে বিলম্বের জন্য ১৮বার আবেদন করতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, মহামারির কারণে তারা বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল করেছে, বিদেশ থেকে দেশটির স্থায়ী নাগরিকত্বের আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :