জাকির তালুকদার: অস্থির লাগছে। ঢাকাতে আর মন টিকছে না। মঈদ আব্বাহুজুর, মেধা মা, মুগ্ধা মাকে ছেড়ে এতোদিন একটানা দূরে থাকা হয় না সচরাচর। কানাডায় যখন থাকি তখনকার কথা আলাদা। এই বিস্তৃত মিরপুর ডিওএইচএস আর যথেষ্ট মনে হচ্ছে না পরিপূর্ণ শ্বাস নেবার জন্য। বড় লেখা লিখতে বসে আটকে যাচ্ছি। কারণ বই-পুস্তক, পত্রিকা, লিটলম্যাগের মূল ভাণ্ডার নাটোরে। ঢাকার কোনো লাইব্রেরি বা বুকশপে গিয়ে দেখে আসার সুযোগও নেই লকডাউনে। ঢাকাতে এতোদিন শুধু পড়ে থাকলাম পরিবারের একজন সদস্যের দেখভাল আর ‘বাঙ্গাল’ এর জন্য। ছাপা-বাঁধাই বাকি। পত্রিকা করা কষ্টকর, সে তো তরুণ বয়স থেকেই জানি। কিন্তু সবকিছু নিখুঁত করার চেষ্টায় শ্রম-সময়ের বিনিয়োগ এতোটা বেশি করতে হবে ভাবিনি।
আশায় আছি, ১৪ তারিখের পরে ঢাকার অভ্যন্তরীণ লকডাউন শিথিল করলে ১৮ তারিখের মধ্যে ‘বাঙ্গাল’ বেরিয়ে যাবে। তা যদি না হয়, প্রেস যদি বন্ধই থাকে, তাহলে ১৫ তারিখে কাঁধে শুধু ল্যাপটপের ব্যাগটা ঝুলিয়ে গণযাত্রায় যোগ দিয়ে হাঁটতে শুরু করবো বাড়ির পথে। কিছুটা টেম্পো, কিছুটা সিএনজি, কিছুটা রিকশা, কিছুটা মোটর সাইকেল, আর যতোখানি দরকার পায়ে হাঁটা। ২১০ কিলোমিটার পেরিয়ে যেতে পারবো ঠিকই। লেখক : কথাসাহিত্যিক
আপনার মতামত লিখুন :