জহিরুল ইসলমা:[২] লক্ষ্মীপুরে চলছে কঠোর লকডাউন। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দেশব্যাপী শুরু হওয়া এই লকডাউন চলবে এক সপ্তাহ ধরে। লকডাউনের প্রথম দিনে লক্ষ্মীপুরে দূরপাল্লার পরিবহনসহ জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটে সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস, দোকানপাট, নৌযান, সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ রয়েছে। শুধু কাঁচা বাজার, খাবার ও ওষুধের দোকানসহ জরুরি সেবা চালু রয়েছে। এতে সরকার ঘোষিত লকডাউনের প্রথম দিনে যানজটের শহর লক্ষ্মীপুর এখন জনশুন্য হয়ে অনেকটাই ফাঁকা রয়েছে।
[৩] বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশি তৎপরতা দেখা গেছে। জেলার প্রবেশদ্বারসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। সরকারি বিধিনিষেধ এবং মানুষের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মাঠে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র্যাব ও আনসার সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।
[৪] জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হলেই আইনশৃংখলা বাহিনীর জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। তবু কিছু উৎসুক জনতাকে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অযথা বাইরে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। লক্ষ্মীপুর শহরসহ জেলায় টহল দিচ্ছে ভ্রম্যমাণ আদালতের টিম। এদিকে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় জেলার ৫টি উপজেলায় ১৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
[৫] লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় দেশব্যাপী শুরু হওয়া লকডাউনে লক্ষ্মীপুরের লোকজনকে বাড়িতে রাখতে এবং অপ্রয়োজনে বাইরে না বেরোতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে প্রশাসন।
[৬] বিধিনিষেধ না মেনে যারা অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে আসছেন এবং স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করছেন না তাদের বিরুদ্ধে মামলাসহ জরিমানা করা হচ্ছে। বিধিনিষেধ এবং মানুষের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করছে। লকডাউন বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন