রাশিদ রিয়াজ : কোভিড চিকিৎসার বিপুল খরচ মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ভারতের ছাপোষা পরিবারগুলোকে। প্রিয়জনের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের বিল মেটানো, ওষুধপত্রের খরচ ইত্যাদি সামলাতে হাত পাততে হচ্ছে অন্য কারও কাছে। বিপুল অর্থসাহায্য নিলে তার কর মেটাতেও নাকাবিচোবানি খেতে হচ্ছে। এই সমস্যা থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে বড় ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে আর্থিক সাহায্যের টাকায় আয়কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যাবে। করোনায় মৃতের পরিবারকে অর্থ সাহায্যের ক্ষেত্রেও একই ছাড় মিলবে। দি ওয়াল
ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোভিড চিকিৎসা করাতে যদি কোনও ব্যক্তি নিয়োগকারী সংস্থা বা আত্মীয়-বন্ধুদের থেকে টাকা ধার নেন, তাহলে সেই টাকায় আয়কর দিতে হবে না। পুরোটাই ছাড় পাবেন গ্রহীতা। আবার যদি সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যু হয় এবং তার পরিবার যদি কোনও নিয়োগকারী সংস্থার থেকে বা আত্মীয়-পরিজনের থেকে টাকা ধার নিয়ে থাকেন, তাহলে সেক্ষেত্রেও আয়করে ছাড় পাওয়া যাবে। মৃতের পরিবার বা নিকট আত্মীয় যিনিই অর্থ সাহায্য নিয়ে থাকুন না কেন, সেই টাকায় আয়কর দেওয়ার দরকার পড়বে না। ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, সংক্রমিত বা মৃতের পরিবারকে কোনও নিয়োগকারী সংস্থা আর্থিক সাহায্য করলে সেই টাকায় পুরোপুরি কর ছাড় মিলবে। তবে ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে আয়কর-মুক্ত অনুদানের সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যদি আত্মীয় বা বন্ধু মারফৎ এক বা একাধিক ব্যক্তির থেকে অর্থসাহায্য আসে, তাহলে সবচেয়ে বেশি ১০ লাখ টাকা অবধি কর ছাড় পাওয়া যাবে। এই সেই সীমা পেরিয়ে গেলে আয়কর দিতে হবে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ থেকে এই নিয়ম কার্যকরী হবে বলে জানা গেছে। পরবর্তী অর্থবর্ষেও সেই আয়কর ছাড়ের নিয়ম কার্যকর থাকবে।