তাহেরুল আনাম : দিনাজপুরে খেজুর চাষে অবিশ্বাস্ব সফলতা দেখিয়েছেন এক গাছ প্রেমী। শুরুতে খেজুর চাষ শখের বসে করলেও আজ বানিজ্যিকভাবে স্বপ্ন দেখছেন তিনি। সৌদি আরবের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও দামি জাতের আজোয়া খেজুর এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে খেজুর গাছে। তবে সরকারীভাবে সহযোগিতা পেলে অনেক বড় পরিসরে খেজুর বাগান করা সম্ভব বলে মনে করছেন এই বাগানী।
আরব খ্যাতো ও সবচেয়ে দামী জাতের আজোয়া খেজুর এখন দিনাজপুরের একটি ছাদ বাগানে। শহরের চাউলিয়াপট্টির একটি ছাদ বাগানে প্রথমে সখের বসে খেজুরের চাষ করলেও এখন বানিজ্যিক ভাবে সেখানে সম্প্রসারনের জন্য প্রস্তুত আছে ৬শ খেজুর চারা। পাশাপাশি এই জাতের খেজুর গাছের শিকড় থেকে প্রতিবছর ২ থেকে ৩টি বাড়তি চারা গাছ বেড় হয়। যা থেকেও বংশ বিস্তার করা সম্ভব। বাগান মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন চাকুরী সুবাদে ৩০ থেকে ৩৫ বছর সৌদি আরবের মদিনা শহরে ছিলেন। প্রায় ছয় বছর আগে অবসর নিয়ে দেশে চলে আসেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন আজোয়া খেজুরের বীজ। তার ছোট ছেলের সহযোগিতায় চারা গাছ তৈরী করছেন। এই গাছ রোপনের চারবছরের মাথায় ধরতে শুরু করে খেজুর। প্রথমে দুটি থোকায় খেজুর আসলেও প্রাপ্ত বয়সে ১৮ থেকে ২০টি থোকা হয় এই গাছে। আজোয়া খেজুর শুধু আকারে বড় নয় বাজার মূল্যও অনেক বেশি। আগামীতে আরো বড় পরিসরে খেজুর বাগান করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
খেজুর বাগানী মোয়াজ্জেম হোসেন জানালেন, চাকরীর সুবাদে সউদী আরবে যাওয়া। সেখানে খেজুরের বাগান দেখে নিজে মনে মনে চিন্তা করেন দেশে যদি এই খেজুর চাষ করা যায় তবে কিছু একটা করা সম্ভব। আর সেই চিন্তা থেকে দেশে কিছু খেজুরের চারা পাঠিয়ে পরিক্ষা মুলক ভাবে চাষ করেন। এখন তার বাগানে ৬শ খেজুর গাছ রয়েছে। সরকারী ভাবে সহায়তা পেলে এই খেজুর দেশের সকল জায়গায় দেশের পাশাপাশি বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান তৈরির সম্বাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
কৃষি সম্প্রসারণের পরিচালক কৃষিবিদ প্রদীপ কুমার গুহ, এই কৃষি কর্মকর্তা খেজুর বাগানে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার পাশাপাশি এই ধরনের আন্তর্জাতিক মানের যে সকল ফল রয়েছে তা বেশি বেশি চাষ করারও পরামর্শ দিলেন তিনি।
সরকারি সহযোগিতা অথবা প্রকল্প আকারে এই উন্নত জাতের আজোয়া খেজুর সম্প্রসারন করা গেলে দেশে খেজুরের চাহিদা অনেকটা পূরন করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংস্লিষ্টরা।