মঈন উদ্দীন: [২] রাজশাহী মহানগরীতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। সংক্রমণ ঠেকাতে রাজশাহী মহানগরীতে গেল শুক্রবার (১১ জুন) থেকে ৭ দিন সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।
[৩] অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ১৬ জুন মহানগরীতে সর্বাত্মক লকডাউন আরও ৭দিন বাড়িয়ে ২৪ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত করা হয়েছে।
[৪] এদিকে, করোনাকালীন সময়েও রাজশাহীতে অনেক বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) গ্রাহকদের কাছ থেকে ঋণের টাকা আদায় করছেন। সুদের ওপর এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছেন- এমন মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
[৫] যেখানে অনেকে তিন বেলার খাবারই জোগাড় করতে পারছেন না। সেখানে প্রতি সপ্তাহে ঋণের কিস্তির টাকা জোগাড় করা তাদের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। চরম অভাবে ঋণের বোঝা তাদের ওপর মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঋণের কিস্তি নেওয়া বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন।
[৬] এরপরও কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ঋণের কিস্তির টাকা আদায়ের অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল জলিল।
[৭] রাজশাহীতে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গরীব মানুষের কাছ থেকে ঋণের কিস্তি আদায়ের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রাজশাহী জেলা প্রশাসক এই কথা জানান।
[৮] এক প্রশ্নের জবাবে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, আমরা এক মাস আগেই ঘোষণা দিয়েছি যারা ঋণের টাকা গ্রহণ করেছে, তারা যদি এই মুহূর্তে টাকা পরিশোধ করতে (কিস্তি দিতে) না পারে, তাদেরকে চাপ দেওয়া যাবে না। সব এনজিওকে ডেকে এমন নির্দেশনা দিয়েছি। এরপরও যদি এ রকম কোনো (কিস্তি আদায়) অভিযোগ পাওয়া যায়, আমাদেরকে জানাবেন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবো।