আফসান চৌধুরী: [১] দস্যু অর্থনীতিতে যেমন টাকা জমলে মানুষ এই দুইটার পেছনে ছোটে, তেমনি দেখেছি নির্বিত্ত মানুষের একই স্বভাব। পরিণতিতে নানা কিছু, মৃত্যু বিভিন্ন রোগ থেকে। এইডস তেমনি এক অসুখ যার শুরু অরক্ষিত যৌন কর্মে। আফ্রিকায় এটার বড় অনুপ্রেনা মদ। [২] উগান্ডার প্রেসিডেন্টের বাড়ির পাশ দিয়ে যে রাস্তা গেছে সেটা অন্ধকার ও সেই অন্ধকারে একদিন বন্ধু পল আর আমি হাঁটছি যখন রেডিওর গান আর হাঁসির আওয়াজ শুনতে পেলাম ও একটু দূরেই ঝুপড়ির ভেতর তাড়ি খানা। লোকগুলা প্রায় মাতাল, গান গাইছে হাঁসছে। আমাদের মদ খেতে বললো। আমি পল কে বললাম, তার মানে কাছেই নারীখানা আছে। পল ফিলিপিনো। ওর ধারণা আমরা খুব রক্ষণশীল তাই এই সব বলি।
আমি কিছু না বলে মিনিট পাঁচেক যেতেই দেখলাম, এক জায়গায় কয়েকজন নারী দাঁড়িয়ে আছে বিবর্ণ চেহারা নিয়ে, মুখে কষ্ট, খদ্দেরের অপেক্ষায়। আমি হাতে কলমে শেখা মানুষ আর আফ্রিকা চিনি। এটাই স্বাভাবিক। পল চুপসে গেলো। করার কিছুই নেই। [৩] সেই সময় ওই অঞ্চলের যতো যৌন কর্মী ছিলো তাদের বেশির ভাগ এইডস আক্রান্ত ছিলো। লোকগুলার নিশ্চিতভাবে সংক্রমণ হবে, তারপর স্ত্রীর, তারপর অসুখ এবং মৃত্যু বাচ্চাগুলোকে অনাথ করে। তখন অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ আসেনি, তাই চিকিৎসা বলে কিছু ছিলো না। বড়োলোক গরিব নির্বিশেষে এই কাজটি করে। মদের হাত ধরে আসে যৌনতার অনিরাপদ জগৎ এবং তারপর যা হওয়ার। সবার যেন এটা চাই। গরিব বড়োলোক উভয় স্বেচ্ছাচারী, হয়তো ভিন্ন ভিন্ন কারণে। আর পশ্চিমারা ড্রাগসের বিরুদ্ধে লড়বে, মদ থামাবে না। লেখক: গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক