শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১১ জুন, ২০২১, ০৪:৪৯ দুপুর
আপডেট : ১১ জুন, ২০২১, ০৪:৪৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সৌম্য কুন্ডু: বিশ্ব পরিবেশ পূনর্গঠনে কয়েকটা ব্যাপার একটু বুঝে নিন

সৌম্য কুন্ডু: ১. বট গাছ, অশ্বত্থ গাছ, নিম গাছ কেটে উপড়ে গাঁদা গাছ, গোলাপ গাছ, পাতাবাহার ও বিদেশি পাম গাছ লাগালে পরিবেশ ভালো হবেনা। পয়সার শ্রাদ্ধ হবে। পরিচর্যার দায় বাড়বে। এ দেশীয় গাছ মানে নেটিভ গাছ কেনো লাগানো দরকার তা নিয়ে একটু না হয় পড়ুন।

২. শহরের সব গাছ কেটে ফেলে ব্যালান্স শীট ঠিক রাখার জন্য একশো মাইল দূরে কয়েকশো গাছ লাগানোর ঢপবাজি থেকে বিরত থাকুন। গভর্নমেন্টের ব্যালান্স শীট ঠিক থাকবে কিন্তু আপনার বা আপনার পরিবারের ফুসফুস যে ঠিক থাকবে তার গ্যারান্টি কেউ দেবে না। কারণ আপনার ফুসফুসের বাতাস একশো মাইল দূর থেকে আসবে না। শহরের তাপ মাত্রা বেড়ে গেলে এসি ঘরে বসে রেহাই পাবেন না। কে জানে কোন কোণে কোন ভাইরাস দু ডিগ্রী বাড়লে মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে।

৩. পাখি, পোকা, জন্তু এগুলোকে বিরক্তির চোখে দেখা বন্ধ করুন। আপনি উড়ে উড়ে গাছের পরাগমিলন ঘটাতে পারবেন না। ফল খেয়ে এক কিলোমিটার দূরে বীজ ও ফেলে আসতে পারবেন না। যারা এই কাজ গুলো করে তাদেরকে nuisance ভাবা বন্ধ করুন।

৪. কমার্শিয়াল ফরেস্ট (commercial forest) নামক গভর্নমেন্টের ধাপ্পাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন। একটা জঙ্গল মানে কয়েকটা দাড়িয়ে থাকা গাছ নয় বা একটা গাছের ইনভেন্টরি নয়। "Sacred Forest" কনসেপ্ট টা হাজার হাজার বছর ধরে ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় চলে আসছে। পড়ে দেখুন। "Sacred forest" এ গাছ কাটা তো দূরের কথা, কোনো কিছুই সংগ্রহ করা হতো না।

৫. পাঁচ লক্ষ্য প্রজাতি বিলুপ্তির পথে। এটা শুধু বিজ্ঞানীদের আলোচনার বস্তু না। এটা সাধারণ মানুষেরও মাথা ব্যথার কারণ। পরিবেশটা একটা বৃহৎ যন্ত্রের মতন। তার থেকে পাঁচ লক্ষ কল-কব্জা সরিয়ে নিলে যন্ত্রটি যে আগের মতনই চলবে সেটা ভাবা ভুল। প্রতিটি প্রাণীর সাথে প্রতিটি প্রাণীর কিছু না কিছু ভাবে যোগ আছে।

৬. আবেগের বশে বা দায়সারা ভাবে গাছ লাগানো বন্ধ করুন। ছোট জায়গায় বড় গাছ, বড় জায়গায় ছোট গাছ এগুলো লাগানো বন্ধ করুন। বিদেশি গাছ লাগানো বন্ধ করুন, তাতে যত সুন্দর ফুলই হোক না কেনো। একটু পরিকল্পনা করে গাছ লাগান।

৭. সর্বোপরি মনে রাখুন যে আপনি পরিবেশ বাঁচাচ্ছেন না। নিজেকে বাঁচাচ্ছেন। ২০০ বছরের অত্যাচার ধুয়ে মুছে সাফ করে নতুন প্রাণের, নতুন জীববৈচিত্রের, নতুন বাস্তুতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করতে প্রকৃতির বেশী সময় লাগবে না। এমন তো বহুবার হয়েছে। কিন্তু এই নতুন পৃথিবী থেকে আপনি বাদ পড়ে যাবেন।(অনুলিপি)

জুন ২০২১। কলকাতা। লেখকের ফেইসবুক পোষ্ট থেকে সংগৃহিত

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়