আরিফ রহমান: গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য খুব 'রাখাল ছেলে' মডেলের হইসে। সরকার ভাবসিল বাঘ কখনোই আসবে না।
বাংলাদেশে করোনা টেস্টের হার খুব কম। ফলে সনাক্তও হচ্ছে কম মানুষ। ওয়ার্ল্ডোমিটারে গেলে দেখবেন প্রতি মিলিয়নে কত লোককে টেস্ট করানো হচ্ছে সেই হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৩।
দেশ আছে ২২২টা। আমাদের পিছনে আছে সিরিয়া, সুদান, আফগানিস্তান, কঙ্গো। ঘানাও আমাদের উপরে আছে। যখন টেস্ট কম হবে শনাক্ত তো অটোমেটিক কমই হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন গতকাল বলছেন, 'করোনা প্রতিরোধে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা চেয়েছি। তবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের রাডার স্কেলে নেই। যেসব দেশে করোনায় বেশি মারা গেছে, তাদের যুক্তরাষ্ট্র টিকায় অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আমাদের মারা গেছে মাত্র ১২ হাজার। সনাক্তও কম। তাদের চোখে এটা খুবই কম।'
টেস্ট কম করিয়ে সবকিছু 'ঠিকঠাক', 'সীমার ভেতর' দেখানোর চেষ্টা ওনাদের সবসময়ই ছিল। এখন এই খেলা রিভার্স হয়ে গেছে। টিকা না পেলে দেশ থেকে ইন আউট বন্ধ থাকবে। এই বন্ধ থাকা গরীবের জন্যও যেমন সত্য, ঋণখেলাপি পাছামোটা সরকারী বাস্টার্ডের জন্যও সত্য।
ওয়ার্ল্ডোমিটার খেয়াল করলে দেখবেন প্রথম ৬০টা দেশ প্রায় ১০০% নাগরিককে একবার করে টেস্ট করায়া ফেলসে। ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশে করোনা টেস্ট হয়েছে ৬০ লাখ মানুষের, অর্থাৎ মাত্র ৩.৫% মানুষ টেস্টের আওতায় এসেছেন। এর মধ্যে অনেকেই একাধিকবার টেস্ট করেছেন।
আমরা টিকা কিনতে না পারি, টেস্ট তো বাড়াতে পারি?
৬০ লাখের জায়গায় যদি আজকে ৬ কোটি টেস্ট হত তাহলে প্রকৃত চিত্রটা পার্শিয়ালি বোঝা যাইতো। টিকা পাওয়াও সহজ হইত। (লেখকের ফেইসবুক পোস্ট থেকে সংগৃহিত)
আপনার মতামত লিখুন :